ইডেনে দিবারাত্রির টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনেই ৬ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। ৭৩/৬ নিয়ে চা বিরতিতে গেছে মুমিনুল হকের দল। লিটন দাস ২৪ ও নাঈম হাসান ০ রানে ক্রিজে আছেন।
১৪.২ ওভারে ৬০ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। এর মধ্যে শূন্য রানে ফেরেন ৩ জন- মুমিনুল, মুশফিক ও মিঠুন।
টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর ৯১ রান। ২০০০ সালে ঢাকায় অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এই স্কোর করেছিলো বাংলাদেশ। আর ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের দলীয় সর্বনিম্ন ১১৮ রান, ২০০০ সালে ঢাকায়।
টসে জিতে ব্যাংটিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ইন্দোরের মতো ইডেন গার্ডেন্সেও টাইগারদের মলিন শুরু।
দলীয় ১৫ রানে ইমরুলের বিদায়। ১৫ বলে ৪ রান করে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। ইন্দোরে প্র্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ১২ রান (৬+৬) করেছিলেন তিনি।
ইশান্ত শর্মার করা সপ্তম ওভারের প্রথম বলে কট বিহাইন্ডের আবেদন। আম্পায়ার জোয়েল উইলসন আঙুল তুলেন। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন ইমরুল কায়েস। দেখা গেলো বল তার ব্যাটে লাগেনি। বেঁচে যান ইমরুল। তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন। একটু সময় নিয়ে আঙুল তুলেন উইলসন। পুনরায় রিভিউ নেন ইমরুল। কিন্তু এবার আর রক্ষা হয়নি। বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট।
অনেক প্রত্যাশা ছিলো মুমিনুল হককে নিয়ে। এবারো হতাশ করলেন বাংলাদেশি অধিনায়ক। ফেরেন শূন্য রানে। উমেশ যাদবের করা ১১তম ওভারের প্রথম বলে কট বিহাইন্ড হন মুমিনুল। উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ বাজপাখির মতো লুফেন রোহিত শর্মা। তৃতীয় বলেই বোল্ড হন মোহাম্মদ মিঠুন (০)।
দলীয় ২৬ রানে আরেক বিশ্বস্ত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম সরাসরি বোল্ড হন মোহাম্মদ শামির বলে। তিনিও রানের খাতা খুলতে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন সাদমান ইসলাম। দলীয় ৩৮ রানে উমেশ যাদবের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ৫২ বলে করেছেন ২৯ রান।
কিছুক্ষণ লড়ে দলীয় ৬০ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ইশান্ত শর্মার বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার তালুবন্দি হন রিয়াদ। ২১ বলে ৬ রান করে তিনি।