1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
৫ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৯৯ শতাংশ ব্যাংক ঋণ সরকারের - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
ওমরাহ পালনে সস্ত্রীক সৌদি যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল ৭৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম, সারা দেশে টানা তাপপ্রবাহের রেকর্ড দেশে নয়, বিদেশে নির্জন দ্বীপে বসছে শাকিব খানের বিয়ের আসর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের উপ-অপ্যায়ন সম্পাদক হলেন সোহেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পাচ্ছেন জায়েদ খান শাকিবের তৃতীয় বিয়ে, মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সোনার দাম আরও কমল রাজধানীতে পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির জায়েদ খানের এফডিসিতে ফেরা হবে কিনা, জানালেন ডিপজল কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট সিনেমা হলে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের সঙ্গে ফ্রি বিরিয়ানি ঢাকায় বড় জমায়েত করতে চায় বিএনপি ১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ

৫ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৯৯ শতাংশ ব্যাংক ঋণ সরকারের

  • Update Time : শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২৭২ Time View

ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে সরকারের ঋণ। চলতি অর্থবছরের ১লা জুলাই থেকে গত ৯ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়েছে ৪৭ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৯.৫৩ শতাংশ। যেখানে পুরো বছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা জানান, কত টাকা ধার করতে হবে, তার একটি লক্ষ্যমাত্রা অর্থবছরের শুরুতেই ঠিক করে রেখেছিল সরকার। কিন্তু ৫ মাসেই লক্ষ্যমাত্রার ৯৯.৫৩ শতাংশ অর্থ ধার করা শেষ বা ঋণ নিয়ে ফেলেছে সরকার। বছরের বাকি সময়ে সরকারি ঋণ কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

তারা বলেন, সরকারের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি দেখা যাচ্ছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) আয় আরো কমেছে, কিন্তু ব্যয় কমেনি। ফলে দেশের ইতিহাসে অল্প সময়ে ব্যাংক থেকে এত বেশি ধার নেয়ার পরিমাণ এটাই প্রথম। এতে করে দেশের ব্যক্তি খাতের ওপর চাপ বেশি পরবে বলে মনে করেন তারা। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে হয় রাজস্ব বাড়াতে হবে, না হয় ব্যয় হ্রাস করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ১লা জুলাই থেকে গত ৯ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়েছে ৪৭ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছে ৯ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা; আর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিয়েছে ৩৭ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাত থেকে নেয়া সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণের স্থিতি বা পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১২ কোটি টাকা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৪৩ হাজার ৮২২ কোটি টাকা।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা ধরা হয়েছে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা। বাকি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা ঘাটতি (অনুদান বাদে)। এ ঘাটতিরই একটি অংশ সরকার পূরণ করছে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ধার করে। অর্থবছরের প্রথম ৫ মাস ৯ দিনে ঋণ নিয়েছে ৪৭ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা বা ৯৯.৫৩ শতাংশ।
সূত্র জানায়, গত ১০ বছরের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের সবচেয়ে বেশি ধার করার রেকর্ডটি ছিল বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের। সরকার ধার করেছিল ৩০ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। অথচ ২০১৬-১৭ এবং ২০০৯-১০ অর্থবছরে সরকারকে ব্যাংক থেকে কোনো ধার নিতে হয়নি। গতবার পুরো অর্থবছরে যে ধার করেছিল সরকার, এবার ৫ মাসেই তা ছাড়িয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়ে যাবে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা কমে যাবে। এতে করে কর্মসংস্থানের বাধা সৃষ্টিসহ জাতীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এদিকে অতিমাত্রায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সঞ্চয়পত্র কেনায় নিয়মকানুন কড়াকড়ি করেছে সরকার। যার প্রভাবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে মাত্র ৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। এছাড়া এককভাবে গত অক্টোবর মাসে নিট ৮২৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। আগের বছরের একই মাসে যেখানে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা।
এদিকে চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ১৯ শতাংশের বেশি। কিন্তু জুলাই-অক্টোবর সময়ে রাজস্ব বাবদ মোট ৬৫ হাজার ৯৬ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা কম। গত অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে আহরণ হয়েছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা।
রাজস্ব আদায় না বাড়লে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। আর সরকারের এ অস্বাভাবিক ঋণ নেয়ায় ব্যাংক খাতের চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, সরকারের ঋণ বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণে বাধা সৃষ্টি হবে। তাই সরকারের ব্যাংক খাতের ঋণের ওপর না ঝুঁকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। আর যদি রাজস্ব আদায় বাড়াতে না পারে, তাহলে ব্যয় সংকোচন করতে হবে। অর্থ সংকটের কারণে আশানুরূপ বাড়ছে না ব্যক্তি খাতে ঋণ। গত কয়েক মাস ধরে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার ধারাবাহিক কমছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের (২০১৯) অক্টোবরে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১০.০৪ শতাংশ হয়েছে। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৬৬ শতাংশ। আগস্টে ছিল ১০.৬৮ শতাংশ। এর আগের মাস জুলাই শেষে ছিল ১১.২৬ শতাংশ। জুনে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১১.২৯ শতাংশ, মে মাসে যা ছিল ১২.১৬ শতাংশ। এর আগের মাস এপ্রিলে ছিল ১২.০৭ শতাংশ, মার্চে প্রবৃদ্ধি ছিল ১২.৪২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২.৫৪ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ১৩.২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মুদ্রানীতিতে বেসরকারি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে ১৪ শতাংশ। কিন্তু গত অক্টোবর শেষে তা অর্জন হয়েছে ১০.৫৮ শতাংশ, অর্থাৎ বেসরকারি খাতের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের (জুলাই-জুন) পর্যন্ত সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ ধরা হয়েছে ২৪.৩ শতাংশ। আর অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৫.৯০ শতাংশ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com