ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে ঘেরাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এদেরকে ইরানপন্থি বিক্ষোভকারী হিসেবে অভিহিত করা হয়। হাশেদ আল শাবি আধাসামরিক বাহিনীর নির্দেশের পর তারা ওই দূতাবাস থেকে ঘেরাও প্রত্যাহার করে। নাটকীয়ভাবে দূতাবাসে প্রবেশের একদিন পর এ ঘটনা ঘটে। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, সপ্তাহান্তে হাশেদ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন। এর ফলে ওই যোদ্ধাদের ভিতর ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা ইরানে প্রশিক্ষিত। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় তাদের ২৫ সদস্য নিহত হওয়ার পর হাশেদ বাহিনী রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ঘেরাও করে এবং ব্যাপক ভাংচুর করে।
আগুন ধরিয়ে দেয়।
ওদিকে ইরাকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদি ক্ষুব্ধ এসব জনতাকে দূতাবাস ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তা সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী দূতাবাসের বাইরে তাঁবু টানিয়ে রাত্রিযাপন করেন। বুধবার সকালে এসব মানুষ হাশেদ রঙে রঞ্জিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় আগুন দেয়। দূতাবাস ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ভিতরে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা এ সময় তাদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এদিন বিকেলের দিকে সমর্থকদেরকে দূতাবাস ও গ্রিন জোন ছেড়ে দিতে আহ্বান জানানো হয় হাশেদের পক্ষ থেকে। বলা হয়, আপনারা আপনাদের বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছেন। এরপরই তাদেরকে তাঁবু ভেঙে নিতে দেখা যায়। তাদের একজন বলেন, আমরা তাদেরকে (যুক্তরাষ্ট্র) পুড়িয়ে দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার টার্গেট ছিল খতিব হিজবুল্লাহ। শুরুতে তারা বলেছিল, দূতাবাসেই অবস্থান করবে তারা। তবে পরে তারা জানায়, হাশেদের নির্দেশ মেনে চলবে তারা।
মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এর জন্য কড়া মূল্য দিতে হবে ইরানকে। এই হামলাকারীরা ইরানের সমর্থনপুষ্ট।