পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা আলোচনায় বসবেন কয়েকদিনের মধ্যে। হতে পারে সেটা আগামী শুক্রবার। এর ফলে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন অবরোধের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরান পাল্টা প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তির বেঁধে দেয়া সীমা লঙ্ঘনের ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় পারমাণবিক চুক্তির সারসংক্ষেপ ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা কয়েক দিনের মধ্যেই বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-ইয়েস লা দ্রিয়ান। সোমবার তিনি বিএফএম টিভি’কে বলেছেন, ইরানের সর্বশেষ সিদ্ধান্তের অর্থ হলো তারা কোনো বাধাহীনভাবে নতুন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারে।
যে কোনো পরিমাণ, তারা যা চাইবে, সেই পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে। যে এলাকায় ইচ্ছা সেখানেই এই কাজ করতে পারবে। ব্যবহার করতে পারবে তাদের ইচ্ছামতো সেন্ট্রিফিউজ। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায়, বার বার এই চুক্তির লঙ্ঘন আমাদেরকে এখন ভাবতে হচ্ছে, এই চুক্তির বৈধতা কতটা সময় আছে। আমরা বিরোধী মীমাংসার কৌশল বিবেচনা করছি। কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা সিদ্ধান্তে যাবো। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, বিরোধী মীমাংসার প্রক্রিয়া নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের অবরোধ নতুন করে আরোপ করার দিকে নিয়ে যেতে পারে। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে এখন পর্যন্ত প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে ফ্রান্স। এই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লা দ্রিয়ান বলেন, সঙ্কট সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকেই আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ইরান যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তাতে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। লা দ্রিয়ান বলেন, আমরা যুদ্ধ করছি না। আমরা যদি উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা না নিই তাহলে যুদ্ধের সমূহ আশঙ্কা থেকে যায়। সব সময়ই কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের সুযোগ থাকে।
কাসেম সোলাইমানিকে কি রাজনৈতিক কারণে হত্যা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প? তার উদ্দেশ্য ছিল আভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেয়া কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে লা দ্রিয়ান বলেন, ইরানি এই কমান্ডার একজন সাধু ছিলেন না। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্ত্রাসীদের তালিকায়। ইরানের সুপ্রিম নেতা তাকে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে অনুমোদন দিয়েছিলেন।