আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধুর সকল খুনিদের দেশে এনে রায় কার্যকর করা হবে।
শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২ টা ১ মিনিটে মাজেদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ। এরপর সাংবাদিকদের এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।এদিকে, ফাঁসি কার্যকরের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকা জেলা প্রশাসক, সিনিয়র জেল সুপার, জেল সুপার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ফাঁসির প্রস্তুতি দেখতে কারাগারে যান আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা।কারা সূত্র জানায়, ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি আগে থেকে নিশ্চিত ছিল। তাই রাত ১০টার পর আবদুল মাজেদকে তার সেলে গিয়ে তওবা পড়িয়েছেন কারা মসজিদের ইমাম। চিৎকার করে কেঁদে তওবা পড়েছেন মাজেদ।কারা সূত্রে জানা গেছে, আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করতে জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি জল্লাদ টিম কাজ করেছে। এদের মধ্যে মো. আবুল হোসেন, তরিকুল ইসলাম ও সোহেল রানা ঢাকা কোন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদী। টিমের বাকি সদস্যদের নরসিংদী ও কাশিমপুর কারাগার থেকে আনা হয়েছে।প্রসঙ্গত, ৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ভোরে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদকে মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৮ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা জজ আদালত মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানার সেই কপি কারাগারে যায় এবং মাজেদ প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। গতকাল শুক্রবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মাজেদের সাক্ষাৎ করেন পরিবারের ৫ সদস্যের একটি দল। এর মধ্যে স্ত্রী সালেহা, স্ত্রীর বোন ও বোন জামাই, ভাতিজা ও একজন চাচাশশুর ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী এই মাজেদ দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক ছিলেন।