জয়পুরহাটে পরপর টানা কয়েকটি টর্নেডোয় প্রায় ৪০ গ্রাম লন্ডভন্ড হয়েছে। ইতিমধ্যে গাছ ও দেয়াল চাপা পড়ে একই পরিবারের তিনজন সহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হল ক্ষেতলাল শহরের খলিশাগাড়ি এলাকার জয়নালের স্ত্রী শিল্পী (২৭), শিশু ছেলে নেওয়াজ(০৭) ও নিয়ামুল (০৩) এবং কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের মরিয়ম বিবি (৭৫)।
নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসন জানান, গতকাল রাত সাড়ে দশটায় হঠাৎ ঝড় উঠলে নিহত শিল্পীর স্বামী জয়নাল বাড়ির বাইরে থেকে বাড়িতে আসে এবং স্ত্রী ও সন্তানদের বাইরে আসতে বলে কিন্তু তারা বাইরে আসার আগেই বাড়ি পেছনে থাকা একটি বেলজিয়াম গাছ ঘরের উপর আছড়ে পড়ে এবং গাছে ও দেয়ালের চাপা খেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় যায় মা,সহ দুই শিশু। স্ত্রী ও দু সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় জয়নাল। তাকে শান্তনা দেবার ভাষা খুজে পাচ্ছেনা স্থানীয়রা। কালাই উপজেলারহারুঞ্জা গ্রামের দক্ষিনপাড়া প্রায় একই সময়ে গাছ চায়ায় মারা যায় মরিয়ম বিবি। এদিকে গত দুদিনে বারবার ঝড়ে প্রায় দুই হাজার কাঁচা-পাকা বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে গেছে এবং বিধ্বস্ত হয়েছে।
মুরগীর সেড ভেঙ্গে মারা গেছে প্রায় ৪০ হাজার মুরগী। শত শত গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে গেছে। এছাড়া রাইসমিল, অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ছোট ছোট দোকান ঘর, গুদামঘরসহ অনেক প্রতিষ্ঠান ধংস হয়েছে। ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলি বাজারের কাছে মোল্লা পোল্ট্রি নামের একটি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। সেডটিতে প্রায় চল্লিশ হাজার মুরগি ছিল প্রায় অর্ধেক মুরগি মারা গেছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ চার লাখ টাকা বিতরন করেছেন হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। তিনি জানান, যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব না তবে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে ঘুরে দাড়াতে পারে সেজন্য ঢেউটিন, নগদ অর্থ ও চাল বিতরন করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, ইতিমধ্যে নিহতদের পরিবারকে ২০হাজার করে টাকা ও ঢেউটিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, বাকী ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সাহায্য দেওয়া হবে। জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এখন পর্যন্ত শতকরা ২০ ভাগ ধান ঘরে তুলেছে কৃষক কিন্তু ঝড়ে প্র্য়া ১১ হাজার হেক্টর জমির ধান ডুবে গেছে।