গ্রুপ পর্বে ৮ ম্যাচে সাত জয় চট্টগ্রামের। শীর্ষে থাকা দলটির প্রথম প্লে অফেই সুযোগ ছিল ফাইনাল নিশ্চিত করার। কিন্তু খুলনার সঙ্গে ৪৭ রানে হেরে সেই স্বপ্ন পুরণে তাদের অপেক্ষা বড়লো। তবে সুযোগ আছে এখনো। ফাইনালে খেলতে আজ বেক্সিকো ঢাকার বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জিততেই হবে। টসে জিতে খুলনাকে ফিল্ডিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করে প্রতিপক্ষ ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি। ৩৪ বছর বয়সী উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান আসরের দ্বিতীয় ফিফটি তুলেনন।
ব্যাট হাতে ওপেন করতে এসে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত করেন ৫১ বলে ৮০ রান। হাঁকান ৪ ছয় ও ৫টি চারের মার। তার সঙ্গে দলের পক্ষে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অবদান ৯ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস। এছাড়াও ইমরুল কায়েসর ১২ বলে ২৫ ও সাকিব আল হাসানের ১৫ বলে ২৮ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ২১০ রান। জবাব দিতে নেমে ট্টগ্রামের দুই ব্যাটিং ভরসা সৌম্য সরকার ০ ও লিটন দাস ২৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর মিঠুন ৩৫ বলে ৫৩ রান করে দলকে টানলেও হাল ধরার মত কেউ দাড়াতে পারেননি। বিশেষ করে দেশের সফল সাবেক অধিনায়ক ও পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসে চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। মাশরাফি একাই তুলে নেন ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থামে চট্টগ্রাম।
অন্যদিকে এটি মাশরাফির টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেট শিকার। খরচ করেছেন ৪ ওভারে ৩৫ রান। বলার অপেক্ষা রাখেনা তার বোলিং জাদুতেই সবার আগে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির ফাইনাল নিশ্চিত করে খুলনা। এ আসরে তার খেলা নিয়ে ছিল শঙ্কা। ইনজুরির কারণে ছিলেন না ক্রিকেটার্স ড্রাফটে। তবে ফিট হয়ে মাঠে ফেরার পর তাকে দলে নিতে আগ্রহী হয় চার দল। তবে লটারি ভাগ্যে তাকে দলে পায় খুলনা। দলের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে দেখেন হারের মুখ ৩৭ বছরের এই পেসার। কিন্তু পরের ম্যাচে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে বল হাতে দেখার তার দূর্দান্ত রূপ।