শুক্রবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে খেলার কথাই ছিল না শহীদুল ইসলামের। ফাইনালের পাঁচ দিন আগে বাবাকে হারান তিনি। জৈব সুরক্ষা বলয় ছেড়ে ফিরে যান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। বাবার চিরবিদায়ের শোক বুকে নিয়েই জেমকন খুলনাকে জানান, খেলতে চান ফাইনালে। ঢাকায় ফিরে টিম হোটেলে ছিলেন তিন দিনের কোয়ারেন্টিনে। করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর শুক্রবার নামেন ফাইনালে। বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে খুলনার শিরোপা জয়ে বড় অবদান ২৫ বছর বয়সী এই পেসারের। আর ফাইনালে খুলনার অনুপ্রেরণা ছিল শহীদুলের পিতৃবিয়োগ।
আসরের পঞ্চম সর্বোচ্চ (১৫) উইকেট শিকারি এই পেসারকে শিরোপা উপহার দিতে মরিয়া ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-মাশরাফিরা।
শিরোপা জিততে শেষ ওভারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। উইকেটে ছিলেন দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা সৈকত আলী ও জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। প্রথম দুই বলে শহীদুল দেন ৩ রান। থিতু হয়ে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যানকে পরের দুই বলে সাজঘরে ফেরান এই ডানহাতি পেসার।
ফাইনালের টার্নিং পয়েন্ট ছিল আসরের সর্বোচ্চ (৩৯৩) রানসংগ্রাহক লিটন দাসের রান আউটে কাটা পড়া। চট্টগ্রাম ইনিংসের নবম ওভারে বল করছিলেন শহীদুল। দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় ডাইভ দিয়ে শহীদুল রান আউট করেন দারুণ ছন্দে থাকা লিটনকে।
খুলনা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মাঠে নামার আগে সতীর্থদের বলেছিলেন, তারা ফাইনাল জিততে চান শহীদুলের জন্য। ম্যাচ শেষে সেটাই বলছিলেন মাশরাফি, ‘আমরা সবাই শহিদুলের বাবার জন্য খেলেছি। ৫ দিন আগে উনি মারা গেছেন। আমাদের অধিনায়ক ম্যাচের আগে বলেছে যে ফাইনালে আমরা শহিদুলের জন্য খেলব। বাবা মারা যাওয়ার পর সে আবার ফিরে এসে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে ছিল। পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়ে ফাইনাল খেলেছে। আমাদের জয়টা ওর জন্য।’