দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তান শেষবার টেস্ট সিরিজ জিতেছে ২০০৩ সালে। সেটাও ঘরের মাঠে। ১৪ বছর পর পাকিস্তান সফরে আসা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ফেভারিট পাকিস্তান। উপমহাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট জেতে না গত এক দশক। টানা আট টেস্ট হেরেছে প্রোটিয়ারা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট জিতে ১৭ বছরের খরা কাটাতে মরিয়া বাবর আজমের দল।
এই সিরিজ দিয়েই টেস্ট নেতৃত্বে অভিষেক বাবর আজমের। প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জিততে চান পাকিস্তান অধিনায়ক। বাবর আজম বলেন, ‘আমরা জানি এটা হোম সিরিজ।
দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের সেরা দলগুলোর একটি। এই সিরিজটা জিতলে দলের ক্রিকেটাররা ভবিষ্যতে ভালো করার অনুপ্রেরণা পাবে। আমি দলের উপর চাপ তৈরি করে দিতে চাই না। সতীর্থদের বলেছি চাপ না নিয়ে খেলতে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে এবং নিজেদের সেরাটা দেয়ার কথাই বলেছি দলকে।’
রাওয়ালপিন্ডিতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পাকিস্তান। এখানে পেসারদের আধিপত্য থাকে। দলে বাড়তি পেসার খেলাতে একাদশে জায়গা হারাতে পারেন নোমান আলী। এই অভিষিক্ত স্পিনার করাচী টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। রাওয়ালপিন্ডিতে অভিষেক হতে পারে পেসার হারিস রউফের। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ৪৪ রানে। সেই টেস্টের ৩০ উইকেটের ২০টিই শিকার করেছিলেন পেসাররা।
উপমহাদেশের কন্ডিশনে টানা ব্যর্থতার ইতি টানতে চান অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক। তিনি বলেন, ‘আমি জানি উপমহাদেশে আমাদের পারফরমেন্স ভালো নয়। আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই টেস্ট সিরিজেই জিতেছি। শেষ সিরিজ জয়ী দলে আমি ছিলাম। ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় বের করার চেষ্টা করছি আমরা।’
প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করলে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে পাঁচে উঠবে পাকিস্তান। একধাপ পিছিয়ে ষষ্ঠ স্থানে নেমে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা।