সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘কিচেন কমিশন’ অভিহিত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইসি গঠন হলেই কী, আর না হলেই কী? এই নির্বাচন কমিশন তো গঠিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে। তা ছাড়া নির্বাচন তো করবেন ডিসি-এসপিরা।
সোমবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শহিদ জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতিহা পাঠ করেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ছাড়াও মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আবদুর রহিমের নেতৃত্বে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিম মিঞা, জাকির হোসেন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকতে নতুন যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে সেটা তো প্রধানমন্ত্রীর কিচেন কমিশন। এর বাইরে তাদের তো কোনো ভূমিকা থাকবে না। কারণ ভোট তো তারা করবেন না। ভোট করবে ডিসি-এসপিরা। যদিও নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারা তো স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে পারবে না। সেখানে প্রশাসন ক্যাডারের সিনিয়রদের দিয়ে কমিশন হয়েছে। মূলত যাদের চিন্তাচেতনা আওয়ামী রঙে রঙিন তাদের দিয়েই কমিশন গঠন করা হয়েছে।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তো ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় রয়েছে, যাদের কোনো জবাবদিহি নেই। সুতরাং জনগণ বাঁচল কী মরল, সেদিকে তাদের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। যে কারণে আজকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত এবং স্বল্পআয়ের মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দুঃসহনীয় অবস্থা। মানুষ দম নিতে পারছে না। যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে, তাতে মানুষের শ্বাসনালি টেনে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে সাধারণ মানের খাবারের চালও ৬৫-৭০ টাকা। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় চিনি, বাচ্চাদের জন্য গুড়ো দুধ— সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক। পেঁয়াজ, মরিচ, ভোজ্যতেলসহ মানুষের একান্ত প্রয়োজনীয় খাবারের দাম বেড়েছে।