স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যা সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল ইদ্রিস আলীর। হঠাৎ গ্রামের দালালদের প্রলোভনে পড়ে স্বামীর বাধা না মেনে দুই শিশু সন্তান নিয়ে পালিয়ে যায় ইদ্রিস আলীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম (২৭)। পরে শিশু সন্তানদের নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মায়ের কাছে রেখে বিদেশে চলে যান শাহনাজ।
এদিকে সেইদিন থেকে স্ত্রী সন্তানদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন ইদ্রিস আলী। দেশের বিভিন্ন স্থানে রিকশা চালিয়ে অলিগলিতে খুঁজেছেন। এরমধ্যে ১১মাসপর শাশুড়ি আকলিমা বেগম ইদ্রিস আলীকে ফোন করে জানায় তোমার দুই কন্যাকে আমার কাছে ফতুল্লায় রেখে গেছে শাহনাজ। এ কথা বলে ফোন বন্ধ করে দেয় শাশুড়ি।
দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানার পাইকপাড়া গ্রামের মৃত. আশান আলীর ছেলে ইদ্রিস আলীর সংসারের এ ঘটনা।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক-সার্কেল নাজমুল হাসান জানান, ১০ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় এসে ইদ্রিস আলী অভিযোগ করে বলেন তার পরিবারের ৩ জন সদস্য দিনাজপুরের গ্রামের বাড়ি থেকে গতবছরের মে মাস থেকে নিখোঁজ রয়েছে। তার শাশুড়ি ফোন করে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকার ঠিকানা দিয়েছেন। এজন্য তিনি দিনাজপুর থেকে ফতুল্লায় এসে একটি গ্যারেজে থেকে রিকশা চালিয়ে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। না পেয়ে তিনি থানায় এসেছেন পুলিশও যেন তার স্ত্রী সন্তানকে খুঁজে দেয়।
বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একটি জিডি গ্রহণ করে থানার ওসি রকিবুজ্জামানকে দায়িত্ব দেন। এতে পুলিশ ৫ দিনের মাথায় একটি ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে ইদ্রিস আলীর শাশুড়ি আকলিমাকে মুসলিমনগর এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ আকলিমার কাছ থেকে জানতে পেয়েছে শাহনাজ তার শিশু সন্তান ইতি (৯) ও মীমকে (৫) তার কাছে রেখে বিদেশ চলে গেছেন। তবে কোন দেশে গিয়েছে তা তিনি বলতে পারেনি।
তিনি আরও জানান, শিশু সন্তানদের ইদ্রিস আলীর কাছে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কাউকে আটক করা হয়নি।
ইদ্রিস আলী জানান, আমি অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। পুলিশ আমার সন্তানদের খুঁজে বের করে দিয়েছে; এজন্য অনেক খুশি এবং পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।