রিকু আমির : ‘তোর মারে যদি ইনজেকশন দিয়া মাইরা ফালাই তখন তুই কী টের পাবি, কী করবি তুই। আমাগো লিফটে উঠনের মজা টের পাবি তখন।’
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালের ২ নং ভবনের লিফট থেকে না নামায় এক রোগীর ছেলে খন্দকার শহিদুজ্জামান মিরাজকে এভাবেই হুমকি দেন এক ইন্টার্ন চিকিৎসক।
আমাদের সময় ডটকম প্রতিবেদককে মিরাজ জানান, হাসপাতালের দ্বিতীয় ভবনের ৯ তলা থেকে নামার সময় ৭ম তলায় লিফটটি আটকে দেন ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। এসময় তারা মিজানসহ অন্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নাইমা যা তাড়াতাড়ি, নামস না কেন, সিড়ি দিয়া যা। এটা ডাক্তারদের লিফট, মূর্খ কোথাকার লিফটের সামনে লেখা চোখে দেখস না।’
এক পর্যায়ে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক মিরাজকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠেন, ‘তোর মায়েরে যদি ইনজেকশন দিয়া মাইরা ফালাই তখন তুই কী টের পাবি, কী করবি তুই। আমাগো লিফটে উঠনের মজা টের পাবি তখন।’
ঢামেক সূত্র জানায়, গত দুই সপ্তাহ যাবৎ ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনে সেলিনা বেগম নামে এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে আবাসিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। মঙ্গলবার হাসপাতালে তাকে দেখতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শহীদুল্লাহ হল শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শহিদুজ্জামান মিরাজ। এসময় ওই ভবনের লিফট দিয়ে নিচে নামতে চাইলে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বাধা দেন। মিরাজ নামতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তাকে প্রতি ওই বাক্য প্রয়োগ করে চিকিৎসকরা। এক পর্যায়ে সেখানেই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মিরাজের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু-বান্ধবদের বেধড়ক পেটায়।আ স