দেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলাতে চিকিৎসার সংবাদ তুলে ধরতে গিয়ে ডাক্তারদের রোষানলে পড়ছেন অনেক সাংবাদিক। এইসব খবর প্রকাশের দোষে দুষ্ট সাংবাদিকদের চিকিৎসা দেবেন না বলে ঘোষণাাও দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এই বিষয়ে হাইকোর্টে ডাক্তারদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুল জারির পর থেকে বিদ্বেষমূলক অবস্থানে রয়েছে ডাক্তার ও সাংবাদিকরা।
তবে এই বিদ্বেষ যে কতটা ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছে তা টের পাওয়া যায় ডাক্তারদের ফেসবুক পেইজ ‘ডক্টরস ক্যাফে’ তে করা একটি পোষ্ট দেখে। এই পোষ্টে ডা. আরিফ উদ্দিন চিকিৎসা না করা বা ভূল চিকিৎসা করাকে এখন অস্ত্র হিসেবে দেখছেন। তিনি লিখেছেন তার মনের কথা সহ কিছু টিপস। গত ৮ মে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ফেসবুকে দেয়া তার পোষ্টটি হুবাহু তুলে ধরা হলো।
“ মেডিক্যাল এথিক্স এ অটোমেটিজম নামে একটা জরুরি বিষয় আছে।
এই শব্দের অর্থ হলো চিকিৎসা দেয়া এবং নেয়ার ব্যাপারে ডাঃ এবং রোগী দুইজনেরই স্বাধীনতা আছে।
অর্থাৎ ডাঃ ও বলতে পারেন -আমি এই রোগীকে চিকিৎসা দিবোনা।
রোগী ও বলতে পারেন -আমি এই ডাঃ থেকে চিকিৎসা নিবো না।
আমাদের দেশে এসব এথিক্সের বালাই নেই।
তাই মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন ,কেন সাংবাদিক কে চিকিৎসা দেয়া হলো না ?
কেন ডাঃ দের শাস্তি দেয়া হবে না?
ইন্টার্নি ভাই বোন রা ! আরেকটু স্মার্ট হইতে হবে আপনাদের্র!!
সরাসরি বলার দরকার কি “আপনি সাংবাদিক ,তাই আপনার চিকিৎসা দিবো না !”
এছাড়াও অনেক কিছু করা যায় ! দৌড়ের উপর রাখেন। ডেভিডসন /বেইলি লাভ খুলে খুলে টেস্ট দিতে থাকেন। মাঝে মাঝে ইন্ট্রামাস্কুলার ডিস্টিল ওয়াটার মারেন!
এরপর ঢাকা মেডিক্যালে রেফার করে দেন।
ঢাকা মেডিকেল এর ইন্টার্নি রা বলবে ৃ.”ও আচ্ছা আপনি সাংবাদিক! আপনাকে তো সিরাম ট্রিটমেন্ট দিবো! ”
এই কথা বলে একটা চোখ টিপ দিয়ে মুচকি হাসি দিবে!
ডাঃ এর চোখটেপা দেখে হাম্বাদিক এর আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাবে।
একে একে সব ডাঃ এসে মুচকি হেসে চোখ টিপ দিয়ে চলে যাবে।
ভয়েই ভাগবে সে।
চিকিৎসা দিবোনা এই কথা বলার দরকার কি!! ’’