বাড়তি সুবিধার জন্য গত দুই বছর ধরে সংসদের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করছেন এই স্টিকার।
মাত্র দুইশ টাকা খরচ করলেই মিলবে জাতীয় সংসদ বা সংসদ সদস্য লেখা প্রাইভেটকারের স্টিকার।
সংসদ সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা সংসদের নানান প্রিন্টিং পেড ও সংসদ সদস্যদের বিজনেস কার্ড তৈরি করে থাকেন।
জাতীয় সংসদের প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় দশম সংসদ বসার পর থেকে প্রায় সাত হাজার প্রাইভেট কার স্টিকার বিক্রি করা হয়েছে।
এই বিশেষ স্টিকার ব্যবহৃত প্রাইভেট কার রাস্তায় বিশেষ সুবিধা পায়। বিশেষ করে এ ধরনের স্টিকার থাকলে এড়ানো যায় সেতু ও ফেরির টোল। ভাঙা যায় ট্রাফিক আইনও!
অবশ্য এক্ষেত্রে আসল নকল চেনাটা অপেক্ষাকৃত সহজ। কেননা, আসল স্টিকার ধাতব ও আকারে ছোট হয়ে থাকে। অন্যদিকে নকলটি হয় কাগজে ছাপা ও উইন্ডশিল্ডে লেমিনেট করা।
আর এ নকল স্টিকারের অন্যতম গ্রাহক আইনপ্রণেতারা স্বয়ং। নকল স্টিকারটি তারা তাদের আত্মীয়স্বজনদের মাঝেই বিতরণ করেন।
সম্প্রতি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কর্তৃপক্ষ পার্লামেন্টের সচিবদের কাছে অাসল স্টিকারের একটি নমুনা চেয়েছে কারণ স্টিকারযুক্ত গাড়ি ক্যান্টনমেন্ট এ প্রবেশের সুবিধাও পেয়ে থাকে।
প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পান, জাতীয় সংসদের প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে দুইশ টাকার বিনিময়ে এই স্টিকার কেনা যায়। জাতীয় সংসদের ডাটা এন্ট্রি সুপারভাইজার ম্রিনাল ক্লান্তি দল একটি স্টিকার এ প্রতিবেদককে দেন।
জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অামি নবম সংসদের কিছু সাংসদকে অতিরিক্ত স্টিকার সংগ্রহ করতে দেখেছি যা তারা তাদের অাত্মীয়দের ব্যবহার করতে দিয়েছে। তিনি অারও বলেন, এই অসাধু লোকদের বিরুদ্ধে অামাদের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং এই প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলো বের করা উচিত।