নির্বাচনে ভোট দিলে আপনি সুনাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হবেন, এটা সবারই জানা। নতুন খবর হলো, ভোট দেন এমন নারী-পুরুষেরা বিবাহযোগ্য পাত্রপাত্রী হিসেবেও এগিয়ে। বিয়ের বাজারে সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর এমন রাজনৈতিক সচেতনতার বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে নতুন এক জনমত জরিপে। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নয় হাজার ৬০০ শহুরে নারী-পুরুষের ওপর পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। পাত্রপাত্রী বাছাইয়ে ভারতের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট শাদি ডটকম এ জরিপ চালিয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী নারী-পুরুষের প্রায় ৮৮ দশমিক ৬ শতাংশই জানিয়েছেন, ভোট দেন না এমন কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে প্রস্তুত নন তারা। নারীদের ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশই জানিয়েছেন, ভোটাধিকারের চর্চা করেন না এমন পুরুষকে বিয়ে করতে চান না তারা।
ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী কোনো নারীকে বিয়ে করতে প্রস্তুত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষই জানিয়েছেন, একই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করেন এমন নারীকেই বিয়ে করতে চান তাঁরা। আর ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ জানিয়েছেন ভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কোনো নারীকে বিয়ে করতে সমস্যা নেই তাঁদের। অন্যদিকে, সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন অনলাইন জরিপে অংশ নেওয়া ৪২ দশমিক ৭ শতাংশ নারীই।
শাদি ডটকমের চিফ অপারেশন অফিসার গৌরব রক্ষিত বলেছেন, এ জরিপ থেকে বোঝা যায়, ভারতের বর্তমান তরুণ প্রজন্ম নিজেদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন এবং তাঁরা তাঁদের জীবনসঙ্গীকেও সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন দেখতে চান।
তবে, জরিপে অংশ নেওয়া ৫২ দশমিক ২ শতাংশ নারীই জানিয়েছেন, সরাসরি মাঠের রাজনীতিতে জড়িত কাউকে বিয়ে করতে আগ্রহী নন তারা। পুরুষদের মধ্যে ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ অবশ্য বলেছেন, রাজনীতিতে জড়িত কাউকে বিয়ে করতে সমস্যা নেই তাদের।