রোববার ব্যাঙ্গালোরের এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তিন বল বাকি থাকতে পাঞ্জাবের দেয়া ২০০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কলকাতা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই রবিন উথাপ্পার বিদায়ে শুরুটা ভালো হয়নি কলকাতার। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহককে ফিরিয়ে দেন মিচেল জনসন।
দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের (২৩) সঙ্গে ৫৩ ও তৃতীয় উইকেটে ইউসুফ পাঠানের (৩৬) সঙ্গে ৭১ রানের দুটি জুটি উপহার দিয়ে দলকে ২ উইকেটে ১৩০ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন মনিশ পাণ্ডে।
রান আউট হওয়ার আগে সাকিব আল হাসান খেলেন ৭ বলে ১২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস। এরপর রায়ান ডেন ডেসকাট দ্রুত ফিরলেও দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মনিশ। এক সময়ে ১৯ বলে মাত্র ২১ রানের প্রয়োজনীয়তার সামনে নিয়ে এসেছিলেন দলকে। কিন্তু অতিরিক্ত মারতে গিয়ে মনিশের বিদায় দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।
৯৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা মনিশের ৫০ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৬টি বিশাল ছক্কা।
সূর্যকুমার যাদবও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে পীযুষ চাওলা ও সুনীল নারায়ণ দলকে আইপিএলে দ্বিতীয় শিরোপা এনে দেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঋদ্ধিমান সাহার অপরাজিত শতকে ৪ উইকেটে ১৯৯ রান করে পাঞ্জাব।
চতুর্থ ওভারেই বীরেন্দর শেবাগের বিদায়ে শুরুটা ভালো হয়নি পাঞ্জাবের। আগের ম্যাচে শতক করা শেবাগ (৭) পেসার উমেশ যাদবের বলে গম্ভীরের ক্যাচে পরিণত হন।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক জর্জ বেইলির (১) দ্রুত বিদায় দলের ওপর চাপ আরো বাড়ায়। নারায়ণের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
ষষ্ঠ ওভারে ৩০ রানে দুই উইকেট হারানো পাঞ্জাবকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান ঋদ্ধিমান ও মানান ভোহরা। তৃতীয় উইকেটে ১২৯ রানের জুটি গড়েন দুজন। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ভোহরাকে (৬৭) বিদায় করে ৭২ বল স্থায়ী জুটি ভাঙেন চাওলা।
এরপর প্রায় একাই খেলছেন ঋদ্ধিমান। শেষ পর্যন্ত ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আইপিএলের ফাইনালে প্রথম শতক হাঁকানো ঋদ্ধিমানের ৫৫ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৮টি ছক্কা।
তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শেষ ১০ ওভারে ১৪১ রান যোগ করে পাঞ্জাব।
কলকাতার পক্ষে চাওলা ২ উইকেট নেন ৪৪ রানে। টানা চার ওভার বল করা সাকিব কোনো উইকেট না পেলেও দেন মাত্র ২৬ রান।
২০১২ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই শিরোপা জিতেছিল কলকাতা। পাঞ্জাবের এটাই ছিল প্রথম ফাইনাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব: ২০ ওভারে ১৯৯/৪ (শেবাগ ৭, ভোহরা ৬৭, বেইলি ১, ঋদ্ধিমান ১১৫*, ম্যাক্সওয়েল ০, মিলার ১*; চাওলা ২/৪৪, যাদব ১/৩৯, নারায়ণ ১/৪৬)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৯.৩ ওভারে ২০০/৭ (উথাপ্পা ৫, গম্ভীর ২৩, মনিশ ৯৪, ইউসুফ ৩৬, সাকিব ১২, টেন ডেসকাট ৪, সূর্যকুমার ৫, চাওলা ১৩*, সুনীল ২*; ক্রান্তিবীর ৪/৫৪, জনসন ২/৪১)