সংকল্প প্রিয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী, অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছাসহ স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের আজকের পড়াশোনায়। তোমাদের জন্য আজ রয়েছে বাংলা বিষয়ের সংকল্প কবিতা। প্রশ্ন : কারা, কেন শত কষ্টকে স্বীকার করে নিচ্ছে? উত্তর : বীর সৈনিকরা সবকিছু পাওয়ার আশায় শত কষ্টকে স্বীকার করে নিচ্ছে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দাও। প্রশ্ন : বীর ডুবুরি কী করে? উত্তর : বীর ডুবুরি সাগর সেঁচে মুক্তা আনে। প্রশ্ন : চন্দ্রলোকের অচিনপুরে কারা যেতে চায়? উত্তর : পৃথিবীর দুঃসাহসী মানুষ চন্দ্রলোকের অচিনপুরে যেতে চায়। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন : কবিতার মূল ভাব লিখ। উত্তর : অসীম বিশ্বকে জানার এক অদম্য কৌতূহল মানুষের। কিশোরেরও তা-ই। সে জানতে চায় বিশ্বের সবকিছুকে, আবিষ্কার করতে চায় অসীম আকাশের সব অজানা রহস্যকে। সে বুঝতে চায় কেন মানুষ ছুটছে অসীমে, অতলে, অন্তরীক্ষে; বীর কেন জীবনকে অনায়াসে বিপন্ন করে, কেন বরণ করে মৃত্যুকে। সে জানতে চায় ডুবুরি কেন ডুবছে, দুঃসাহসী কেন উড়ছে। তাই কিশোর মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে, সে বদ্ধ ঘরে বসে থাকবে না। পৃথিবীটাকে সেও ঘুরে ঘুরে দেখবে। প্রশ্ন : কবি বদ্ধ ঘরে থাকতে চান না কেন? উত্তর : অজানাকে জানার, অদেখাকে দেখার কৌতূহল মানুষের চিরন্তন। কবিও এর ব্যতিক্রম নন। তিনি বদ্ধ ঘরে থাকতে চান না। কারণ, তিনি জগতের সব রহস্য জানতে চান। তিনি জানতে চান সারা বিশ্বের মানুষ যুগ যুগ ধরে কীভাবে নিত্য-নতুন আবিষ্কারের নেশায় মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ জ্ঞান করে এগিয়ে চলছে। সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে ডুবুরি কীভাবে মুক্তা সংগ্রহ করে কিংবা দুঃসাহসী বৈমানিক কীভাবে আকাশে পাড়ি জমায়, এ সবকিছুও কবি জানতে চান। বদ্ধ ঘরে আবদ্ধ না থেকে কবি রহস্যঘেরা অসীম বিশ্ব তথা বিশ্বজগৎটাকে হাতের মুঠোয় পুরে পরখ করে দেখতে চান। প্রশ্ন : বীর ডুবুরি কী করে? উত্তর : গভীর পানিতে ডুব দিয়ে যারা কোনো জিনিস উদ্ধার করে আনে, তাদের ডুবুরি বলা হয়। সংকল্প কবিতায় কবি ডুবুরিদের বীর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বীর ডুবুরিরা নদী বা সমুদ্রের তলদেশ থেকে মুক্তা সংগ্রহ করে। নদী বা সমুদ্রের গভীর তলদেশে কোনো নৌকা, লঞ্চ বা জাহাজ নিমজ্জিত হলে বীর ডুবুরিরা তা উদ্ধার করে। প্রশ্ন : চন্দ্রলোকের অচিনপুরে কারা যেতে চায়? উত্তর : চন্দ্রলোক কথাটির অর্থ হলো চাঁদের দেশ। বিশ্বের মানুষের কাছে এ দেশ একটি অজানা-অচেনা জায়গা। অজানা-অচেনা জায়গা সম্পর্কে মানুষ চিরকালই কৌতূহলী। আর এ কৌতূহলী মানুষই চন্দ্রলোকের অচিনপুরে যেতে চায়। পৃথিবীর এই দুঃসাহসী মানুষ হাউই চড়ে চন্দ্রলোকের অচিনপুর অভিযান সফল করতে চায়। জানতে চায় অচিনপুর চন্দ্রলোকের অজানা সব রহস্য। প্রশ্ন : কবি পাতাল ফেঁড়ে নামতে চান কেন? উত্তর : পাতাল বলতে আমরা সাগরের তলদেশ বা মাটির নিচের দেশকে বুঝে থাকি। মহাকাশের মতো পাতালপুরীও এক অজানা রহস্যঘেরা জায়গা। অসীম বিশ্বকে জানার অদম্য কৌতূহলী কবি মাটির নিচে পাতালে কী আছে তা জানার জন্য পাতাল ফেঁড়ে সেখানে নামতে চান। পাতালের অজানা রহস্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে কৌতূহল মেটাতে চান।