নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “আমরা আলোচনা চেয়েছিলাম। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী আপনাকে শুধু আলোচনা নয়, গণভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আপনি তখন সেই আমন্ত্রণকে উপহাস, তুচ্ছ, তাচ্ছিল্ল করেছিলেন। ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। আজকে আপনি বলছেন আপনি আলোচনা চান।”
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশ রত্ন সেবক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতোই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৯ সালের আগে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনার প্রশ্নই আসে না।”
“আপনি (খালেদা জিয়া) যতই বিদেশিদের দুয়ারে দুয়ারে ধর্না দেন নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না, হবে না। ২০১৯ সালের আগে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না” উল্লেখ করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা সকলকে নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে চাই। তাই আপনারা যদি আপনাদের সহিংসতা, ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালনসহ কৃত কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চান তাহলে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা হতে পারে।”
বাজেট নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন তাদেরকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, “যারা সমালোচনা করেন তারা যদি আগে একটি কথা বলে নেন তাহলে ভালো হয়। আপনারা অনেকেই দেশ পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন। আপনারা যদি বলেন আপনারা যখন দেশ পরিচালনা করেছিলেন তখন আপনাদের ব্যর্থতা প্রসূত জ্ঞান থেকে আপনারা এ ধরণের কথা বলছেন। তাহলে আমরা আপনাদের এই কথাগুলোকে অধিক প্রনিধানযোগ্য বলে মনে করবো। সুতরাং আপনাদেরকে আগে আপনাদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”
তিনি অারো বলেন, “বিএনপি বাজেট নিয়ে সমালোচনা করে। বিএনপি নেতারা অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা আদৌ পড়েছে কী না আমার সন্দেহ। এমন কী কিছু কিছু বুদ্ধিজীবীরা অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা না পড়েই সমালোচনা করেন।”
“বিএনপি একটি দল। এ দলটি গঠিত হয়েছে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট থেকে। খাবারের উচ্ছিষ্ট বাইরে ফেলা হলে কাক জমা হয়ে উচ্ছিষ্টগুলো খাওয়ার চেষ্টা করে এবং খায়। বিএনপি গঠিত হয়েছে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট থেকে। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট যখন জিয়াউর রহমান বিলিয়ে দিয়েছিলো তখন রাজনীতির অনেক কাকের সম্মিলিত হয়ে গঠিত হয়েছিলো বিএনপি। বিএনপি হচ্ছে রাজনীতির কাকদের একটি দল যারা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খাওয়ার জন্য সেখানে জড়ো হয়েছে” বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি অনুরোধ করবো, আপনারা প্রস্তাবিত বাজেট ভালোভাবে বিশ্লেষণ করুন। আপনারা সংসদে না থাকলেও আপনাদের পরামর্শ গ্রহণ করার মানসিকতা সরকারের আছে।”
সংগঠনের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।