যুক্তরাষ্ট্র থেকে আবুধাবি হয়ে সম্প্রতি দেশে আসা ৫৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে বর্তমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান।
রোববার তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বিষয়টি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়েছি।”
তিনি জানান, মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী গত ৪ জুন দেশে ফেরেন। ৬ জুন রোগীর শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয়। ৯ জুন প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
আক্রান্ত ব্যক্তি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “হাসপাতালে তাকে আইসিইউ থেকে সাধারণ বেডে নেয়া হয়েছে।
আইইডিসিআর এ পর্যন্ত ৩৯ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে একজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত করতে পেরেছে বলে জানান তিনি।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা ভাইরাসটি দেশে যেহেতু এখনো ছড়িয়ে পড়েনি, তাই এ ব্যপারে সবাইকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মার্স রিভিউ কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য অধ্যাপক রহমান।
তিনি বলেন, “বিদেশ ফেরত কেউ অসুস্থবোধ করলে আমরা তাদের দ্রুত হাসপাতালে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।”
মাহমুদর রহমান জানান, এ ভাইরাসে আক্রান্ত আরো কাউকে পাওয়া গেলে আইডিসিআরকে সঙ্গে সঙ্গে তা জানাতে হাসপাতালগুলোকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ভাইরাস শনাক্তকরণে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত গবেষণাগার রয়েছে আইডিসিআরের। নতুন এই ভাইরসের সংক্রমণ বিষয়ে দেশে দেড় হাজার চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম মার্স বা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম ভাইরাসে সংক্রমণের ঘটনা শনাক্ত হয়।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবে এ পর্যন্ত ২৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সম্প্রতি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
পাশাপাশি দেশটিতে ৬৮৮টি সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।