একটি ভুল। একটি প্রথা ভাঙা। আর সেই দু’টি মিলেই স্মরণীয় হয়ে রইল নরেন্দ্র মোদির ভুটান সফরের শেষ দিন। যার সাক্ষী থাকল টুইটারে অফুরন্ত হাস্যরস আর ব্যঙ্গের প্রবাহ। গত ১৭ই জুন ভুটানি পার্লামেন্টের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী (মোদি)। বক্তৃতায় ভুটানের রাজ পরিবারকে নেপালের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে হোঁচট খেয়েছেন তিনি। আর বক্তৃতার শেষে প্রথা ভেঙে হাততালি শোনা গিয়েছে ভুটানি পার্লামেন্টে। আনন্দে, প্রশংসায় হাততালি দেয়াটা ভুটানে রীতিসম্মত নয়। কেবল দুষ্ট আত্মাকে তাড়াতে হাততালি দেন সে দেশের বাসিন্দারা। মোদির বক্তৃতার শেষেও যে হাততালি দেয়া হবে না তা থিম্পুর মিডিয়া সেন্টারে রীতিমতো নোটিস দিয়ে জানিয়েছিল ভুটান সরকার। মোদির বক্তৃতার শেষে অবশ্য পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্য থেকে প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, হাততালিতে পিছিয়ে থাকেননি কেউই। স্বাভাবিক ভাবেই বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরুদ্দিন টুইটারে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পরে হাততালি….আবেগের কী স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ! কিন্তু নেপাল-ভুটান গুলিয়ে ফেলে টুইটারে হাসি ঠাট্টার বান ডাকিয়ে দিয়েছেন মোদি। নেপাল থুড়ি ভুটানে মোদির সফর ভালই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ। কূটনৈতিক সূত্র অবশ্য বলছে, ভুটান সফরে কাজও হয়েছে বিস্তর। যার প্রতিফলন হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে। জলবিদ্যুত উৎপাদন-সহ অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে ভুটানের সঙ্গে সহযোগিতা থেকে যে ভারত সরছে না সে কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন মোদি।