‘কণার হাতে বীণা, সে বীণা বাজায়, তার অনেক গুণ’ শৈশবের ১ম শ্রেণির বাংলা বইয়ের এই শিশু পাঠের এ কথাটি কম-বেশি সবার মনে আছে। সেই কণার মতো আমাদের বাংলা গানেও এক গুণী সঙ্গীতশিল্পী কণা রয়েছেন। তার পুরো নাম দিলশাদ নাহার কণা। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই হারমোনিয়াম ও তবলা বাজানোয় দক্ষ হন দিলশাদ নাহার কণা। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী থেকে সংগীত শিক্ষা লাভ করেছেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘এসো গান শিখি’ শিরোনামের একটি সংগীত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কণা সংগীত জীবন শুরু করেন।
দিলশাদ নাহার কণা গ্রহণ করেন ১৫ই এপ্রিল, ঢাকা। কণা মগবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক এবং লালমাটিয়া কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর জনরুল সংগীত একাডেমি হতে সংগীত শিক্ষা লাভ করেন। তার এক ভাই এবং এক বোন রয়েছে।
সংগীত পরিচালক ইমন সাহার হাত ধরে দেশের সংগীত অঙ্গনে কণার প্রবেশ। দিলশাদ নাহার কণা ২০০৩ সালে তিশা, নাফিসা ও রোমানাকে নিয়ে একটি ব্যান্ড দল গড়ে তোলেন। তবে সেই ব্যান্ড দলটি বেশিদুর যেতে পারেনি। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে কণার প্রথম একক অ্যালবাম “জ্যামিতিক ভালোবাসা” অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। কণা এযাবত পাঁচ শতাধিক এর উপরে জিঙ্গেলে কন্ঠ দিয়েছেন। গানের পাশাপাশি নাটকে অভিনয় করেন কণা। এছাড়া বিজ্ঞাপনের মডেল এবং উপস্থাপনাও করেছেন। ২০১৩ সালে সেরা প্লে ব্যাক কন্ঠ শিল্পী হিসেবে ‘বাবিসাস এ্যাওয়ার্ড-২০১২’ পুরস্কারে ভূষিত হন।