পাখি আলোকচিত্রী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, চলতি বছরের ২৮ মার্চ আমি কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গহিন বন থেকে এ ছবিটি তুলেছি। খুব সৌভাগ্য যে এক ডালে দু’টোকেই বসে থাকতে দেখেছিলাম। ওরা বড় বড় গাছ পছন্দ করে এবং দূরে দূরে থাকে। তাই সহজে চোখে দেখা যায় না।
পাখিটিকে ‘মহাবিপন্ন’ বললেও ভুল বলা হবে না। যারা পাখি বিশেষজ্ঞ অর্থাৎ পাখি নিয়েই নানা কাজ, তাদের চোখেই কম ধরা পড়ে এ পাখিটি। তবে মৌলভীবাজারের রাজকান্দি বনবিটে এবং হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এ পাখিটিকে দেখেছেন বলে জানান পাখি গবেষক ও আলোকচিত্রী তানিয়া খান জানিয়েছেন।
পাখি বিশেষজ্ঞ, আলোকচিত্রী ও প্রকৃতি বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা রোনাল্ড হালদার বলেন, পাহাড়ি নীলকান্ত দুর্লভ পরিযায়ী পাখি। গ্রীষ্মকালে সাধারণত বৃহত্তর সিলেট বিভাগে তাদের কম দেখা যায়। তখন তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বড় পাহাড়গুলোতে চলে আসে। তবে আমাদের দেশে খুব বেশি সংখ্যায় এদের দেখা যায় না।
তিনি আরও বলেন, এর দৈর্ঘ্য ৩০ সেমি এবং ওজন ১৫০ গ্রাম। ছেলে ও মেয়ে পাখির চেহারা একই। এরা ঘন পাহাড়ি এলাকার উঁচু ডালে বসে থাকে। উড়ে উড়ে পোকামাকড় ধরে খায়। এখন তাদের প্রজনন মৌসুম চলছে। ভারত, নেপাল, ভুটান, চীন প্রভৃতি দেশে এদের দেখা যায়।