তোবা গ্রুপের পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের দাবিতে আমরণ অনশন চলছে। ফলে বুধবার অনশনের তৃতীয় দিনে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় তোবার নিজস্ব কারখানা ভবনে শ্রমিকেরা ঈদের আগের দিন থেকে মে, জুন ও জুলাই তিন মাসের বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাসের দাবিতে এই অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। অনশনের পাশাপাশি গত শুক্রবার বিকেল থেকে কারখানাটির মালিক দেলোয়ার হোসেনের শাশুড়ি লাইলী বেগমকে কারখানা ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

অনশনে অসুস্থ শ্রমিকদের কারখানার ভেতরেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। আজ গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও উদিচি শিল্পীগোষ্ঠী শ্রমিকদের কর্মসূচিতে সংহতি জানায়।

কারখানাটির নারী শ্রমিক শামীমা আক্তার জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। গতকাল কারখানার সামনের রাস্তায় পুরুষ সহকর্মীরা ঈদের নামাজ আদায় করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এতে পুলিশ বাধা দেয়।

তোবা গ্রুপের পাঁচ কারখানায় কাজ করেন তিন হাজার শ্রমিক। কারখানাগুলো হলো- তোবা ফ্যাশনস, তোবা টেক্সটাইল, বুকশান গার্মেন্টস, তায়েব ডিজাইন ও মিতা ডিজাইন। এই । তাঁরা মে, জুন ও জুলাই মাসের বেতন পাননি। বেতন-ভাতার দাবিতে গত বুধবার তোবার এক হাজার ২০০ শ্রমিক বিজিএমইএ ভবন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখেন।

এছাড়া ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তোবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা মামলায় জামিন নিতে গেলে আদালত গত ৯ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার হোসেনকে কারাগারে পাঠান। তার স্ত্রী তোবার চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তারকে কারাগারে পাঠালেও পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।