সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় এখনও অন্তত ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার দুদিন পরও পরিবারের লোকজন নদীর তীরে খুঁজে বেড়াচ্ছেন নিখোঁজ স্বজনদের। বৃহস্পতিবার শতাধিক যাত্রী নিয়ে যমুনা নদীতে নৌকাডুবির পর আট জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, আর কোন মৃতদেহ না পাওয়ায় দুদিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেছে প্রশাসন। মধ্যজোতপাড়ার আবুল কালাম জানান, অনেক খোঁজাখুজি করেও তিনি স্ত্রী শাহনাজ পারভীন (৩৫) ও মেয়ে তানজিয়া পারভীনের কোনো সন্ধান পাননি। চরসলিমাবাদ গ্রামের অমূল্য দাস তার ৭ ও ৩ বছর বয়সী দুই নাতিকে এখনও পাগলের মতো খুঁজে ফিরছেন যমুনার তীরে এখানে ওখানে। নৌকাডুবির পর পরিবারের অন্য সদস্যরা তীরে উঠতে পারলেও ওই দুই নিখোঁজ হয়। দক্ষিণজোতপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক স্ত্রী সাজেদা খাতুনের (৪৩) খোঁজ এখনো পাননি। শনিবারও সারাদিন তিনি যমুনার তীরে খুঁজেছেন স্ত্রীকে।
উল্লেখ্য, ঈদের দুদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরের মিটুয়ানী বাজার ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাটি চর সলিমাবাদ ঘাটে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। কিন্তু ঘাটের কাছে নদীর মধ্যে একটি ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লাগলে নৌকাটি ডুবে যায়। অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে কূলে উঠলেও বাকিরা নিখোঁজ হয়। এ পর্যন্ত আটটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।