ঢাকা: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষে আক্রান্ত ইরাকে এবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিরোধ বেধেছে প্রধানমন্ত্রীর। বিরোধের জের ধরে প্রধানমন্ত্রীর অনুগত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রাজধানী বাগদাদের রাস্তায় অবস্থান নেওয়ায় নতুন অচলাবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে।
শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট কুর্দি সম্প্রদায়ভুক্ত প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ মাসুমের সমালোচনা করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর রাজধানী বাগদাদের সড়কে সড়কে অবস্থান নেয় প্রধানমন্ত্রীর অনুগত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্টের অনুগত বাহিনীও রাস্তায় নামতে গেলে যেকোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, গত এপ্রিলের নির্বাচনে মালিকির দল জয়লাভ করলেও দেশের উত্তরাঞ্চলে সুন্নি সম্প্রদায়পন্থি ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভ্যান্টের (আইএসআইএল) জঙ্গি তৎপরতার প্রেক্ষাপটে তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মালিকিকে সরে দাঁড়ানোর দাবি ওঠে।
এ প্রেক্ষিতে একসময়কার মিত্র মালিকিকে আরও বেশি বেকায়দায় ফেলে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ মাসুমের পক্ষে বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই বিবৃতিতে সর্বজনগ্রাহ্য একটি সরকার গঠনের আহ্বান জানায় বিশ্ব মোড়লরা।
এরপরও মালিকি তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হতে পার্লামেন্ট সদস্যদের শরনাপন্ন হলে তাকে নির্বাচিত করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। উপায়ন্তর না দেখে প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মালিকি। কিন্তু মালিকির এ ধরনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন কুর্দি সম্প্রদায়ভুক্ত ফুয়াদও।
এতে বেজায় চটে গিয়ে টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করে মালিকি বলেন, মাসুম সংবিধানের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করেছেন। পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্টের অবস্থান সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াবিরোধী ‘ক্যু’।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্বায়ত্ত্বশাসিত কুর্দিস্তানসহ আইএসআইএল অধ্যুষিত ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।