ভাবছেন কোনাল। এই ভাবনা নাটক সিনেমায় অভিনয় নিয়ে নয়। আবার প্রেম-বিয়ে নিয়েও নয়। কোনাল তার দ্বিতীয় অ্যালবাম নিয়ে এবার সিরিয়াসলি ভাবছেন। তিনি জানান, এই ভাবনার ফলস্বরূপ এরই মধ্যে বেশ কিছু গানের ট্র্যাক তৈরি হয়েছে। আন্ডারকনস্ট্রাকশনে আছে আরও কিছু ট্র্যাক। বাকি শুধু কণ্ঠ দেয়া। তিনি আরও জানান, বাপ্পা মজুমদারের সুর-সংগীতে এর মধ্যে একটা গানেরও রেকর্ডিং করে ফেলেছেন। মনে প্রাণে ভেবে ভেবে শত রকমের ব্যস্ততা সত্ত্বেও চেষ্টা করছেন আসছে ঈদের আগেই অ্যালবামের সব গানের রেকর্ডিং শেষ করতে। ভাবনায় ডুবে থেকে কোনাল রেকর্ড চলতি অ্যালবামের ধরন প্রসঙ্গে বলেন, এবারের অ্যালবামে বিষয়ভিত্তিক গান বেশি রাখতে চাই। প্রতিটি গানের কথায় এক একটি দৃশ্যপট রাখতে চাই। হতে পারে তা বৃষ্টি, পথশিশু কিংবা যে কোন বিষয়ের শ্রুতিমধুর বর্ণনা। সঙ্গে মেলোডি তো থাকছেই। সব মিলিয়ে আমি একটু সময় নিয়ে হলেও এবারের অ্যালবামটি নিয়ে বেশ ভাবছি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কতটা কুলাতে পারি। এদিকে অ্যালবাম রেকর্ডিং এবং ভাবনার বাইরে গিয়ে সমসাময়িকদের তুলনায় বেশ কম কাজ করেন কোনাল। কারণ, পড়াশোনায়ও মন দিতে হচ্ছে রুটিন ধরে। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-এ তিনি পড়ছেন ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা’ বিষয়ে। কোনাল বলেন, শুধু ধেই ধেই করে গান করলেই তো হবে না। পড়াশোনাটাও জরুরি। তার চেয়ে জরুরি পড়াশোনাটাকে সামাজিকভাবে কাজে লাগানো। সে জন্যই গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ছি। আমি সামাজিক উন্নয়নে নিজেকে কাজে লাগাতে চাই। মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে চাই। গান এবং সাংবাদিকতার মাধ্যমে কিংবা অন্য যে কোনভাবে আমাদের সমাজকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে চাই। আমি মনে করি অন্যদের মতো আমারও দেশ ও সমাজের কাছে কিছু দায়বদ্ধতা আছে। সব মিলিয়ে শুধু গানই নয়, এই সমাজ-শহর নিয়েও ভাবনায় ডুবে আছেন সোমনুর মনির কোনাল। উল্লেখ্য, প্রায় বছর তিনেক হলো প্রকাশ পেয়েছে কোনালের প্রথম একক ‘কোনালস জাদু’।