ইউরোপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০১৩-১৪ মওসুমের পারফরমেন্সের ভিত্তিতে ইউয়েফার সেরা খেলোয়াড় হলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। বায়ার্ন মিউনিখ তারকা ম্যানুয়েল নয়্যার ও আরিবেন রোবেনকে পিছনে ফেলে সাংবাদিকদের ভোটে এ পুরস্কার দিতে নেন রোনালদো। তবে ৫৪ জন সাংবাদিকের ভোটে পঞ্চমস্থানে রয়েছেন বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসি। গত চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ১৭ গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে শিরোপা জেতে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখেন পর্তুগাল অধিনায়ক। ইউরোপ সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে রোনালদো বলেন, ‘এ পুরস্কার জেতায় আমি খুবই খুশি। এজন্য সতীর্থদের আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ, তাদের সহায়তা ছাড়া একক পুরস্কার জেতা সম্ভব নয়।’ ২০১০-১১ মওসুমে পুরস্কারটি চালু হওয়ার পর প্রথম এই পদক জিতলেন ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার রোনালদো। উয়েফার ইউরোপের সেরা ফুটবলারের প্রথম পুরস্কারটি জিতেছিলেন মেসি। গত দুই বছর পুরস্কার পান যথাক্রমে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও ফ্রাঙ্ক রিবেরি। দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে জার্মানির বিশ্বকাপে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন গোলরক্ষক নয়্যার। অর মওসুমে বায়ার্নের পক্ষে ২১ গোল করেন নেদারল্যান্ডস ফরোয়ার্ড আরিয়েন রোবেন। ডাচদের সেমিফাইনালে তুলতে করেছেন ৩ গোল। তবে বিশ্বকাপে আলো ছড়াতে ব্যর্থ হন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বাছাই পর্বে সুইডেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করলেও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে পর্তুগাল। তবে ক্লাব পর্যায়ে রিয়ালের হয়ে রোনালদো ঠিকই আলো ছড়ান। রিয়ালের হয়ে পুরো মওসুমে ৫১ গোল করেন তিনি। দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জেতার পাশাপাশি কোপা দেল রে’র শিরোপা জেতাতেও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।