সম্প্রতি বাংলাদেশ ও শ্রিলঙ্কা সফর করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। দক্ষিণ এশিয়ার যে অঞ্চলে চীনের কাছে জাপান তাদের প্রভাব হারিয়েছে সেখানে নতুন করে আগ্রহ প্রকাশ করতেই এ সফর। চায়না ডেইলির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। এতে আরও বলা হয়, জাপানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের পর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সফরে যান আবে। মোদির সঙ্গে আলোচনায় ভারতে ৩ হাজার ৪শ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান। এছাড়াও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বিশেষ কৌশলগত বৈশ্বিক অংশিদারিত্ব শুরুর ঘোষণা এসেছে। এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এরও এ মাসের শেষে ভারত ও শ্রিলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। আবের বাংলাদেশ সফর ছিল গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে কোন জাপানি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। আর শ্রিলঙ্কায় ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম। বাংলাদেশ সফরে আবে অবকাঠামোগত প্রকল্পে ৫৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একইসঙ্গে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী আসনের জন্য টোকিওর পক্ষে ঢাকার সমর্থন জিতেছেন তিনি। জাপানের পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ সাবেক শ্রীলঙ্কান কুটনীতিক নন্দ গোড়াগা বলেন, ‘জাপান অবগত যে আমরা অনেক দিক থেকে চীনের প্রতি নির্ভরশীল, কাজেই তারা সেটা পাল্টাতে চায়।’ আবে এখন পর্যন্ত ৪৯ টি দেশ সফর করেছেন। জাপানের ইতিহাসে কোন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এটা সর্বোচ্চ। তার ডলার কুটনীতির পাশাপাশি অস্ত্র রপ্তানি নির্দেশ করে জাপানের কৌশল হলো, উত্থানরত চীনকে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করা।