বাংলাদশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে ভারতে রাজনৈতিক স্তরে আলাপ-আলোচনা চলছে। বর্তমানে এ-সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে রয়েছে। গত ইউপিএ সরকারের আমলেই বিলটি রাজ্যসভায় উত্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ও অসম গণপরিষদসহ কয়েকটি দলের বাধায় সেটি গৃহীত না হলেও সেটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়। নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর সিলেক্ট কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন সিলেক্ট কমিটিতে বিলটি নিয়ে আলোচনা হবে। এ বিল নিয়ে মতৈক্য তৈরির জন্য রাজনৈতিক স্তরেও আলোচনা চলছে। তিস্তা চুক্তি নিয়েও রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। গত সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ খবর জানিয়েছেন। গত মাসে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে এসেছেন, এ দুটি চুক্তির ব্যাপারে ভারত সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে। আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিটির (জেসিসি) সভায় সীমান্ত ও তিস্তা চুক্তি নিয়ে আরেক দফা আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। এ বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ১৯শে সেপ্টেম্বরই নয়া দিল্লি এসে পৌঁছাবেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হতে পারেন বলে কথা রয়েছে। সেই বৈঠকের আগে দুই দেশের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতা কোন কোন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব তা নিয়েও দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জেসিসি বৈঠকে আলোচনা করবেন।