ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আনারপুরায় আজ রবিবার সকাল পৌনে ১০টায় বসুন্ধরা টিস্যু পেপার মিলসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং কালো ধোঁয়ায় ওই এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট এবং বসুন্ধরার নিজেস্ব আগুন নিয়ন্ত্রণ কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভির্সের উপ-সহকারী পরিচালক জানান, বেলা ১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বেলা সাড়ে ৩টায় পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে।
এদিকে, আগুন নেভাতে গিয়ে মিলটির অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন সরকারি ও বেস কারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে গুরুতর কোন আহতের খবর পাওয়া যায় নাই।
বসুন্ধরা টিস্যু পেপার মিলস-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কি কারণে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমাদের বেশ কিছু শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে বড় ধরনের কোন আহত নাই। যারাই আহত হয়েছেন তারা মোটামুটি সুস্থ্য অবস্থায় চিকিৎসাধীন রযেছেন। কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন জানান, পেপার মিলের কনবার্ট সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত হলেও আগুনের সঠিক কারণ এবং এর ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। আগুন লাগার পরপরই মিলটির গুদামে ও ফ্যাক্টরিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রথমেই মিলটির নিজস্ব ব্যবস্থায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ সময় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকার কারণে তাৎক্ষণিক কুমিল্লার দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায় এবং পরে নারায়ণগঞ্জের আরও ৪টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে পুরোদমে কাজ করে। এ ছাড়াও সেখানে বসুন্ধারা টিস্যু পেপার মিলসের নিজেস্ব আগুন নিয়ন্ত্রণ টিম শুরু থেকেই আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। এরপর আগুনের লেলিহান শিখা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঢাকার ডেমরা থেকে আরও দু’টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে নারায়ণগঞ্জের বন্দর ফায়ার স্টেশন থেকে আরও একটি ইউনিট যোগ দিয় এ নিয়ে সর্বমোট ৯টি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে।
বেলা ১২টার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং তা বেলা ১টার দিকে পুরো নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পুরোপুরি তা নিভানো সম্ভব হয়। তিনি আরও জানান, পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষার কারণে বাইরের কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।