ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই উৎসব। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বরিত কোরবানির ঈদও বিনোদনের বাইরে থাকে না, যেহেতু এটি একটি উৎসব। আর এ উৎসবকে পরিপূর্ণ করার জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি সব স্যাটেলাইট চ্যানেল ছিল তৎপর। নির্মল বিনোদনের মধ্য দিয়ে ভাল ভাল অনুষ্ঠান উপহার দিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করার প্রতিযোগিতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সব চ্যানেলের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন কিছু উপহার দেয়া। এ লক্ষ্যে ঈদের প্রথম তিন দিন সব চ্যানেলই ছিল সক্রিয় ও সফল। শুরু করা যাক ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) দিয়ে। এ চ্যানেলটি নাটক, গান, নৃত্যানুষ্ঠান দিয়ে বরাবরের মতো দর্শকদের বিনোদিত করার চেষ্টা করেছে। তবে ঈদের বিটিভির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল এ আয়োজন। তরুণ উপস্থাপক আনজাম মাসুদের গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও উপস্থাপনায় এবারের ঈদের ‘আনন্দমেলা’ ছিল তারুণ্যনির্ভর। এ জাতীয় বড় বড় অনুষ্ঠানে যেখানে নতুন প্রজন্মকে উপেক্ষা করা হয় সেখানে আনজাম মাসুদ তাদের নিয়ে চমৎকার একটি অনুষ্ঠান উপহার দিয়ে দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করেছেন। আনন্দমেলা’য় সামাজিক নানা অসঙ্গতিও তুলে ধরেছেন তিনি। ঈদের দ্বিতীয় দিন ‘বৃদ্ধাশ্রমে ঈদ’ এবং তৃতীয় দিন ‘প্রথমে প্রিয়জন’ অনুষ্ঠান দু’টিও দর্শকদের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে।
প্রথম স্যাটেলাইট চ্যানেল এটিএন বাংলায় প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে একক নাটক ‘রাজমহলের লেখক’ ‘সার কথার ধার বেশী’, ‘সেই সাত দিন’, ‘দ্য লস্ট মেমোরিজ’, ‘শুধু তোমার জন্য’, ‘আলাল দুলাল পঞ্চম পত্র’ ইভা রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান ‘মন ছুঁয়ে যায়’, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ধন্যবাদ’, ‘পাঁচ ফোড়ন’, ‘ঈদের বাজনা বাজেরে’, ধারাবাহিক নাটক ‘মেঘ বালিকা’ এবং টেলিছবি ‘বউ’, ‘মন আমার’, দর্শকদের ভাল লেগেছে। বাংলা ভাষায় প্রথম ডিজিটাল স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আই-এর ঈদ অনুষ্ঠানমালা শুরু হয় ঈদের আগের দিন থেকে। ‘কক্সবাজারে কাকাতুয়া’ এবং ‘লেট করে সিলেটে’র ব্যাপক সাফল্যের পর এবারের ঈদে বাংলা একাডেমি পদকপ্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের কিশোর গোয়েন্দা সিরিজ ‘ছোট কাকু’র এবারের পর্ব ‘রাতবিরাতে সাতক্ষীরা’তে দিয়ে ঈদ অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। নন্দিত নির্মাতা ও জনপ্রিয় অভিনেতা আফজাল হোসেন অভিনীত ও পরিচালিত ৬ পর্বের এ ধারাবাহিক প্রথম দিন থেকেই জমে উঠেছে। এর পর চাঁদরাত মানেই রেজানুর রহমানের নাটক- এই স্লোগানকে সামনে রেখে রেজানুর রহমান রচিত ও পরিচালিত ‘লাট সাহেবের নাতি’ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব কৃষি উন্নয়নের সফল স্বপ্নভ্রষ্টা শাইখ সিরাজের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘কৃষকের ঈদ-আনন্দ’ নিয়ে ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’ দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। ঈদের দিন সকালে দেশের বৃহত্তম ঈদ-জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া থেকে সরাসরি সম্প্রচার করে বরাবরের মতো এবারও সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছে চ্যানেল আই। ঈদের দিন নাটক ‘আনসার আলী ঢাকায়’, ‘বিভ্রম’, অরুণ চৌধুরীর পরিচালনায় কানাডার মনোরম লোকেশনে চিত্রায়িত ফেরদৌস আরার একক সংগীতানুষ্ঠান ‘ঘুরে ঘুরে দূরে সাত সাগর পাড়ে’ এবং তৃতীয় মাত্রাখ্যাত জিল্লুর রহমানের পরিচালনা ও উপস্থাপনায় রাজনীতিবিদদের নিয়ে অনুষ্ঠান ‘ভালবাসার বাংলাদেশ’, ঈদের দ্বিতীয় দিন নাটক ‘মতিন সাহেবের চশমা’, ‘নায়িকা’, ‘গনি মিয়ার কোচিং সেন্টার’ এবং কৃষকের ঈদ-আনন্দের সঙ্গে ‘রাতবিরাতে সাতক্ষীরা’তে দর্শকদের মনজয় করেছে। ঈদের তৃতীয় দিন ‘গোবর বাবু’, ‘কালো মেঘ’ এবং চিত্রনায়ক রিয়াজ ও চিত্রনায়িকা নিপুণ অভিনীত নাটক শনিবারের চোর দর্শকদের ভাল লেগেছে। দৃষ্টিজুড়ে দেশ স্লোগান দিয়ে এগিয়ে চলা বাংলাভিশন আয়োজন করেছে ৭ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। একেবারেই ভিন্নতর কিছু বিষয় নিয়ে সাজানো হয়েছে ঈদের অনুষ্ঠানমালা। এ আয়োজনকে প্রথমেই সফলতা এনে দিয়েছে সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের পরিবারের সঙ্গে স্বনাম খ্যাত সাংবাদিক ও উপস্থাপক মতিউর রহমান চৌধুরী ও মাহবুবা চৌধুরীর উপস্থাপনায় জমজমাট ‘ঈদ আড্ডা’ অনুষ্ঠান ‘উৎসবে অবসরে’। ড. কামাল হোসেনের বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক অজানা অংশ উঠে এসেছে এ অনুষ্ঠানে। দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছেন এ অনুষ্ঠানটি। বাংলাভিশনের আরেকটি জমজমাট অনুষ্ঠান ছিল ‘তারকা উৎসব’। মুনমুনের উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে দুই জোড়া বিখ্যাত দম্পতি অংশ নেন। এরা হলেন বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তার স্ত্রী শিশির এবং জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী ও তার স্ত্রী বিখ্যাত অভিনেত্রী তিশা। বাংলাভিশনের অনন্যা অনুষ্ঠানের মধ্যে নাটকগুলো ছিল চমৎকার। ৬ পর্বের ধারাবাহিক ‘জামাই বন্দি’, ৬ পর্বের ধারাবাহিক ‘সিকান্দার বক্স এখন বান্দরবানে’, একক নাটক ‘মধ্যপ্রহর’, টেলিফিল্ম ‘আজমেরী নাম’, ‘দ্বিধা’ ছিল উল্লেখ করার মতো। নাটকগুলো দর্শকদের ভাল লেগেছে। পাশাপাশি অপি করিমের উপস্থাপনায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা ও সর্বাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা আলমগীরকে নিয়ে আলাপচারিতায় অনুষ্ঠান ‘আমাদের কিংবদন্তি’ ছিল প্রাণবন্ত। এনটিভির ঈদ অনুষ্ঠানমালায় বিশেষভাবে আলোচিত ও জনপ্রিয় হয়েছে রুনা লায়লার একক সংগীতানুষ্ঠান ‘গীতি মধুময়’ এবং শাহনাজ রহমত উল্লাহর একক সংগীতানুষ্ঠান ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’। দর্শকদের ভাল লেগেছে কুমার বিশ্বজিতের ‘প্রিয় অনুভব’, ‘রক উইথ মাইলস’ অনুষ্ঠান দু’টিও। দর্শক পছন্দের তালিকায় ছিল টেলিছবি ‘সন্ধ্যাতারা’, ৭ দিনের ধারাবাহিক ‘ডেডলাইন’, ‘বুনোফুলের ঘ্রাণ’, ‘সেতরংঘে’, ‘নিঝুমরাত্রী’ ও ‘গন্তব্য’। দেশ টিভির ঈদের বড় চমক ছিল জনপ্রিয় নায়ক অনন্ত জলিলের উপস্থাপনায় অন্যরকম টকশো ‘ফেস টু ফেস : অনন্ত জলিল’। প্রথম তিন দিন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও বর্ষা এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী ও বিশিষ্ট অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে অনন্ত জলিলের সাবলিল উপস্থাপনা দর্শকদের ভাল লেগেছে। দেশ টিভিতে এ অনুষ্ঠান নিয়ে ৬ দিন থাকছেন অনন্ত জলিল। এর বাইরে কলের গান অনুষ্ঠানে লাকি আখন্দ, ফাহমিদা নবী, আতিক লোপা হোসেন, কলকাতার উজ্জয়ীনি মুখার্জি এবং খুরশীদ আলম, সুবিরনন্দি ও শাম্মী আকতারের পরিবেশনা দর্শকদের ভাল লেগেছে। ধারাবাহিক নাটক ‘ফিল্মি বাড়ি’, ‘তার ছিল নিয়তির হাতে’ দর্শকদের ভাল লেগেছে। একুশে টিভির অনুষ্ঠানমালায় সজীব-চম্পাবণিক, বাদশা বুলবুল অনুপমা মুক্তি এবং আগুন ও দিঠি আনোয়ারের স্টুডিও কনসার্ট ছিল উপভোগ্য। নাটক ‘নীল পাহারের গায়’, ‘ছিন্নমুকুল’ ‘সেয়ানো জামাই’, ‘অবাক জ্যোৎস্না’, ‘নীলকষ্ট’, ‘ভালবাসায় ফরমালিন’ ছিল মানসম্পন্ন। আরটিভির অনুষ্ঠানমালায় ঈদের আগের দিন ব্যান্ড লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর স্টুডিও কনসার্ট ঈদের দিন নাবিলার উপস্থাপনায় হৃদয়খান, সুজাগ, সারিকা ও মাহিনকে নিয়ে সেলিব্রিটি দম্পতি আড্ডা ‘তুমি আর আমি’, বিদ্যা সিনহা মীমের একক নৃত্যু অনুষ্ঠান ‘দ্য ড্যান্স ডিডা’, নুসরাত ফারিয়ার উপস্থাপনায় হাবিব, ন্যান্সি, জনা, বালান ও এলিটাকে নিয়ে আড্ডা গানে ঈদ ছিল উপভোগ্য। নাটকের মধ্যে এক ঘণ্টার ধারাবাহিক ‘ভন্ড সিরিজ’, ছয় পর্বের ধারাবাহিক ‘লাঠিপাগল’ এক ঘণ্টার নাটক ‘সেলফি’, ‘ওয়ান ওয়েন ওয়ে হরতাল’ এবং ‘বেয়াদব ছেলে’, টেলিফিল্ম ‘কাব্যকথা’, ২০১৪ সালের বরকত ও সুমনা ছিল ঈদ উপযোগী। চ্যানেল নাইনের ঈদ অনুষ্ঠানমালায় উল্লেখযোগ্য ছিল ৬ পর্বের ধারাবাহিক ‘স্পাই এজেন্সি’, টেলিফিল্ম ‘হিয়ার মাঝে ঘুমিয়েছিলে’, ‘সড়কের নামে সড়ক স্বর্ণ কুহুক’, একক নাটক ‘তুমি কি লজ্জাবতী না সূর্যমুখী’, ‘কাঁচা মরিচ ও গরম ভাত’, ‘আগন্তুক’, ‘এ্যাগার মেমোরি’, মাছরাঙা টেলিভিশনের উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান ছিল মমতাজের একক সংগীতানুষ্ঠান। রাঙারাত, ঈদের পরদিন রাঙারাত-এ সোলস এর পরিবেশনা, লিটল স্টার দিঘী, পড়শি, ইমরান ও নওমিকে নিয়ে অনুষ্ঠান টিনএজারস ঈদ, ছয় পর্বের ধারাবাহিক ‘ভাই’ টেলি ছবি ‘৭২ কাকরাইল’, ‘রোড ট্র্যাপ’, ‘প্রেম ও প্রতিহিংসা’, নাটক ‘প্রতিদিনের ‘একদিন’, ‘অন্তহীন’ ‘থিয়েটারওয়ালা’ ইত্যাদি। বৈশাখী টেলিভিশনের উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে শিশু-কিশোরদের জন্য ছয় দিনব্যাপী ধারাবাহিক ‘পিটি রতন সিটি খোকন’ প্রথম দিন থেকেই জমে উঠেছে। ‘গেন্দুচোরা লোকাল সার্ভিস’ নামে ছয় পর্বের আরেকটি জমজমাট ধারাবাহিক প্রচার হচ্ছে। বাপ্পা মজুমদার, সামিনা চৌধুরী ও কিশোর, কোনাল ও কর্ণিয়ার সময় কাটুক গানে গানে ছিল বেশ উপভোগ্য। গাজী টিভির অনুষ্ঠানমালায় ছয় পর্বের ধারাবাহিক ‘আলাল দুলাল দিশাহারা’, ‘মজনুরা’, একক নাটক ‘আমি তুমি সে’, ‘সেই চোখ’, ‘সফদার ডাক্তার’, ‘বাপ্পা মজুমদার ও মাকসুদ’ ও ‘ঢাকার গানোফোন’ ছিল উপভোগ্য। এশিয়ান টিভির অনুষ্ঠানমালায় শিশুদের জন্য রয়েছে সাত দিনব্যাপী জনপ্রিয় কার্টুন ছবি ‘ডোরেমন’। নাটক ‘বউবদল’, চিলেকোঠার রোদ্দুর অধরার রোদ, ডলি সায়ন্তী, পূলক, আরেফিন রুমি ও নওমি এবং বাদশা বুলবুল ও পড়শীর মিউজিক আওয়ার ছিল উপভোগ্য। এমটিভির অনুষ্ঠানমালায় উল্লেখযোগ্য ছিল কণ্ঠ তারকা ফাতেমা-তুজ্জোহরা ও তার মেয়ে, বাদশা বুলবুল ও তার মেয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠান ‘তারা দু’জন’, কমেডি শো ‘রাসিপুরে হাসির মানুষ’, টেলিছবি ‘তোমায় নতুন করে পাবো বলে’, ‘কাল পূর্ণিমা’, টেলিফিল্ম ‘কভার স্টোরি নাটক এক পায়ে নূপুর’।
তবে ঈদের টেলিভিশন অনুষ্ঠানমালায় অর্ধেক সময়জুড়ে ছিল বাংলা সিনেমা। তিন দিনে সবক’টি চ্যানেল ৪১টি সিনেমা প্রচার করেছে। এর মধ্যে একমাত্র চ্যানেল আই সম্পূর্ণ নতুন একটি ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার (টাইম মেশিন) করেছে। একাধিক চ্যানেল এক ছবি প্রচার করেছে, যা দর্শকদের কাছে বেমানান বলে মনে হয়েছে। বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণা তুলনামূলকভাবে কম বলে মনে হয়েছে। অনেকেই শট ব্রেক দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছেন। এবারের ঈদ অনুষ্ঠানমালায় জনপ্রিয় অনেক তারকাকে দেখা যায়নি। আবার কিছু চ্যানেল ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছে। যমুনা টেলিভিশনে ‘চলতে চলতে’ অনুষ্ঠান মৌসুমী এবং অপু বিশ্বাসের উপস্থিতি ভাল লেগেছে। সময় টেলিভিশনে মিষ্টি মেয়ে কবরীর সঙ্গে স্বনামধন্য নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামের আলাপচারিতা দর্শকদের অনেক কৌতূহল নিবৃত্ত করেছে। টেলিভিশন নাটকগুলোতে একই শিল্পী অত্যাধিক উপস্থিতি যেমন দৃষ্টিকটু লেগেছে, তেমনি গানের অনুষ্ঠনগুলো শিল্পী সমন্বয় সংগীতপ্রেমীদের কাছে বিস্ময়কর বলে মনে হয়েছে। তার পরও ঈদ নিয়ে সবক’টি চ্যানেলের ভাল কিছু দেয়ার প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকুক, অনুষ্ঠানগুলো নিত্যনতুন আঙ্গিকে ভরে উঠক, ঈদের আনন্দকে পরিপূর্ণ করার মতো বিষয়বস্তু প্রাধান্য পাক- এমন প্রত্যাশা সব বিনোদনপ্রেমীর।