মোঃ খলিলুর রহমান :
জন্ম:- শিল্পপতি আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম ১৯২৮ সালে ১ আগস্ট কিশোরগঞ্জ জেলা বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি ছিলেন বাজিতপুর পৌরসভার (১৯৫৮-১৯৬১) সালের চেয়ারম্যান। তার দাদা হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন বাজিতপুরের সূপরিচিত মুখ। মা মোছা: রহিমা খাতুন ছিলেন মহিয়ষী দানবীর নারী।
বংশ:- আলহাজ্ব জহুরুল ইসলামে পূর্ব পুরুষ ছিলেন ভাগল খাঁ। ভাগল খাঁ এই অঞ্চলে আগমনের দুটি জনশ্র“তি রয়েছে। অধিক সংখক মানুষের মতে মুঘল আমলে বায়েজিদ খাঁ নামক জনৈক রাজ কর্মচারী তার অপর তিন ভ্রাতা ভাগল খাঁ, পৈলান খাঁ, দেলোয়ার খাঁ দিল্লী থেকে এই অঞ্চলে আসেন। কিছু দিন পর তারা বাজিতপুরের আস পাশে বাসস্থান করে বসবাস করেন। এই সময় বায়েজিদ খাঁর বসবাসের এলাকাটাকে বায়েজিদপুর, পরে উচ্চারণ বিবর্তনে বাজিতপুর, ভাগল খাঁর নামে ভাগলপুর, পৈলান খাঁর নামে পৈলানপুর, দেলোয়ার খাঁর নামে দিলালপুর পরিচিতি লাভ করে।
দ্বিতীয় জনশ্র“তিতে বলা হয় বায়েজিদ খাঁ নামে মোগল সেনাপতিকে প্রেরন করা হয়েছিল হাওড় অঞ্চলে ঈশা খাঁর অগ্রগতিকে রোধ করার জন্য। বায়েজিদ খাঁ তার সাথে তিন ভাইকে নিয়ে আসেন। ঈশা খাঁ তখন হাওড় অঞ্চলে ঘোড়াউত্রা নদীর পূর্ব পাশে ছিল। বায়েজিদ খাঁ অবস্থান নেন ঘোড়াউত্রা নদীর দুই মাইল পশ্চিমে বর্তমান বাজিতপুরে।তবে বায়েজিদ খাঁ সাথে ঈশা খাঁ কোন যুদ্ধ অথবা সন্ধি হয়েছিল কিনা তার ইতিহাস থেকে জানা যায়নি।
বায়েজিদ খাঁ ও তার তিন ভ্রাতা এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে শ্রীধরগঞ্জের আশে পাশে বর্তমান বাাজতপুর বাজার, ভাগলপুর, দিলালপুর ও পৈলানপুরে বসবাস শুধু করে।
জহুরুল ইসলামের পূর্ব পুরুষদের তালিকা
ভাগল খাঁ
জমির খাঁ
হাজিম খাঁ
করিম খাঁ
ইয়াসমিন খাঁ
ইমানী খাঁ
হাসিম খাঁ
আমানুল্লাহ খাঁ
আজীম খাঁ
ইয়াছিন খাঁ
হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক
আফতার উদ্দিন আহমদ
১। নজিরুল ইসলাম ২। জহুরুল ইসলাম ৩। ওয়ালিউল ইসলাম ৪। ওয়াজেদুর ইসলাম ৫। মাজেদুল ইসলাম
৬। আমিনুল ইসলাম ৭। আজহারুল ইসলাম ৮। শফিউল ইসলাম ৯। শামসুন্নাহার বেগম
১০। নুরুন্নাহার বেগম ১১। গুলনাহার বেগম
জহুরুল ইসলামে সন্তানগণ
১। মঞ্জুরুল ইসলাম (বাবলু) ২। সাইদা ইসলাম (বেবী) ৩। মাফিদা ইসলাম (শিমি) ৪। নাইমা ইসলাম (ইমা)
৫। কানিতা ইসলাম (কানিতা)
মঞ্জুরুল ইসলাম বাবলুর সন্তান- ১। কাশফিয়া ইসলাম
শৈশব এবং শিা:- ছোট বেলা জহুরুল ইসলাম ছিলেন বিনয়ী মিশুক ও দুরন্ত প্রকৃতির। সমবয়সীদের সাথে ঘুরে বেড়ানো এবং খেলাধুলায় ছিল খুব আগ্রহ। গরীব দু:খীদের পাশে দাড়িয়ে সহযোগীতা করার সভাব ছিল ছোট বেলা থেকেই। স্থানীয় স্কুলে ৫ম শ্রেনীতে উর্ত্তীন হয়ে কিছু দিনের জন্য সরারচর শিবনাথ হাই স্কুলে পড়েন। সে খান থেকে স্কুল পরিবর্তন করে বাজিতপুর হাই স্কুলে ভর্তি হন। লেখা-পড়ার এক প্রর্যায়ে চাচার সাথে কলকাতায় চলে যান। সে খানে রিপন হাই স্কুল থেকে ইংরেজী মিডিয়ামে ম্যাট্রিকুলেশন পরীা পাশ করে বর্ধমান কলেজে ভর্তি হন। পরে মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে ভর্তি হয়ে মেধা থাকার সত্ত্বেও লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়া হলনা।
চলবে—————–