বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুুত্র প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে পরিচালক আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সোহেলের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ম্যাচ উপলক্ষে নগরীর সৌন্দর্য্য বর্ধন ও আলোকসজ্জা পরিদর্শন করছিলেন শেখ সোহেল। সে কারণে বাসভবনে না থাকায় সৌভাগ্যক্রমে তিনি কোন প্রকার অঘটনের শিকার হননি। বুধবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে দুইজন এবং অপর একটি মোটরসাইকেলে তিনজন সন্ত্রাসী খুলনা মহানগরীর শেরে বাংলা রোডস্থ শেখ সোহেলের বাড়িতে ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। এর মধ্যে ১ রাউন্ড গুলি সোহেলের বাড়ির নিচতলার তার অফিস কক্ষে লাগে। আর একটি গুলি বাড়ির ভেতরের দেয়ালে লাগে। অন্য দু’টি গুলি বাড়ির মেইন গেটে লাগে এবং একটি গুলি অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। শেখ সোহেলের বাড়িতে গুলির খবর শুনে আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শ’ শ’ নেতাকর্মী সেখানে যান। শেখ সোহেলের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনার পরপরই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আবদুল মান্নান, সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার মোল্লা আজাদ হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মারুফ আহম্মেদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই ও বিসিবি’র পরিচালক শেখ সোহেলের শেরে বাংলা রোডস্থ বাড়ির মেইন গেটের বিপরীতে একটি গলি থেকে সন্ত্রাসীরা পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলিবর্ষণ করে। চারটি গুলি বিস্ফোরিত হয়। একটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই ও বিসিবি’র পরিচালক শেখ সোহেল বলেন, তিনি জন্মগ্রহণের পর থেকে এ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। আজ পর্যন্ত কোন অঘটন ঘটেনি। আমাদের পরিবারের সাথে খুলনার কোন মানুষের বিরোধ নেই। তবে সফল ভাবে খুলনায় টেস্ট ক্রিকেট আয়োজন হতে যাচ্ছে যা দেখে হয়তো বা কেউ ঈর্ষান্বিত হতে পারে। শেখ সোহেল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমার মা খুবই অসুস্থ তাকে ঢাকায় রেখে আমি ক্রিকেট ম্যাচকে কেন্দ্র করে খুলনায় অবস্থান করছিলাম। অসুস্থ মা ঘটনাটি জানার আগেই হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় যাচ্ছি।