শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। ব্যবসায়ীরা মনে করেন নামেই শুধু এটি আন্তর্জাতিক মেলা, কেননা রপ্তানি বৃদ্ধিতে যে ধরনের উদ্যোগ নেয়া দরকার, তা চোখে পড়ে না এখানে। তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবি বলছে মেলায় বিদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়াতে, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের সহযোগিতায় চেষ্টা চালান তারা।
প্রায় ছয়শ’ প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়া দেশের সবচেয়ে বড় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বরাবরই দেখা যায়, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অতি নগন্য। পাশাপাশি রপ্তানি বাড়াতে বিদেশিদের কাছে বহুমুখী পণ্য তুলে ধরতেও এ মেলার তেমন সফলতা নেই। গত বছর এ মেলায় রপ্তানি আদেশ এসেছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা। মূল্য সংযোজন কর আদায়ের হিসেব মতে মেলাজুড়ে বিক্রির পরিমাণ ৭০ কোটি টাকা। যদিও মনে করা হয় প্রকৃত বিক্রি ২০০ কোটি টাকার ওপরে। মেলার অস্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণে ৮-১০ কোটি টাকা খরচ হলেও, রফতানি খাতের জন্য আলাদা কোনো প্রদর্শনীর ব্যবস্থা না থাকা এ আয়োজনের বড় দুর্বলতা বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতা।
ব্যবসায়ী নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর এ মেলায় আমরা তেমন বিদেশি ক্রেতা দেখিনি, যারা এসেছিল তাদের এবার আমন্ত্রণ পাঠিয়েছি কি না, তা গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটি আয়োজনের জন্য আয়োজকদের আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথেও তাদের যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’
প্রায় দুই দশকেও কেন অর্থবহ হয়ে উঠতে পারেনি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা- এমন প্রশ্নের উত্তরে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবি’র দাবি তাদের চেষ্টার কমতি নেই।
ইপিবি’র সচিব বলেন, ড. এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, ‘বিদেশে আন্তর্জাতিক মেলাগুলো ৩-৪ দিন হয়, আমাদের এখানে ১ মাসের জন্য তাদের আগ্রহ কম। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, মেলার অনেক আগে থেকেই দূতাবাসের মাধ্যমে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। কিছু বিদেশি ক্রেতা জানেন যে এসময় আমাদের এখানে মেলা হয়, তারা নিজেরাই আগ্রহী হয়ে আসেন।’
বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করে মেলায় বিদেশি ক্রেতা টানতে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ দেন পর্যবেক্ষকরা।