তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, রাজাকারের দুই পিতা ও এক মাতা। এক পিতা পাকিস্তান, অপর পিতা জিয়াউর রহমান। রাজাকারের মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান রাজাকারদের রক্ষা করতে পারেনি। বেগম জিয়া যতই মাতৃস্নেহে রাজাকারদের লালন পালন করেন না কেন তাদের রক্ষা করতে পারবেন না। কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। একটা একটা করে সব রাজাকারের বিচার হবে। বাংলার মাটিতে রাজাকারের বিচার হবেই।’
মন্ত্রী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সিরাজদিখান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র, অন্তর্ঘাত, নাশকতা, ইতিহাস বিকৃতি এবং জনসাধারণকে জানে মারার কৌশল অবলম্বন করছেন। অপরদিকে সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গীবাদ, সামরিক শাসন এবং পাকিস্তানের আবর্জনা দুর করার চেষ্টা চালাচ্ছে বর্তমান সরকার। ষড়যন্ত্রকারীদের নেতৃত্বদানকারী বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গী ও রাজাকারদের নিয়ে ক্ষমতায় আসার অপচেষ্টা সফল হবে না।’
তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক যুদ্ধেরই একজন মহানায়ক থাকেন। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রত্যেক যুদ্ধেই পক্ষ বিপক্ষ থাকে। এই যুদ্ধের শত্রু ছিল পাকিস্থানের দালাল আলবদর ও রাজাকাররা। বাংলায় চার মীরজাফরের জন্ম হয়েছিল। জিয়াউর রহমান বাংলার চার নম্বর মীরজাফর। এছাড়া প্রথম মীরজাফর, দ্বিতীয় মীরজাফর ’৭১ এর যুদ্ধে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী বাংলার কুসন্তানরা, তৃতীয় মীরজাফর খন্দকার মোস্তাক।’
হাসানুল হক ইনু বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও সৃজনশীল উল্লেখ করে আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সকলকে নিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেকে আত্ম নিয়োগ করেছেন। যার সুফল জাতি পেতে শুরু করেছে।
পরে মন্ত্রী সিরাজদিখান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন সুকুমার রঞ্জন ঘোষ এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম পিন্টু ও উপজেলা যুব লীগের আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান – See more at: http://www.kalerkantho.com/online/Politics/2014/12/31/169740#sthash.jaa5Ifz0.dpuf