নতুন বছরে হরতাল ও রাজনৈতিক সহিংসতার আশঙ্কায় দেশের ব্যবসায়ীরা। আন্দোলনের নামে হরতালের মতো নাশকতাকে দেশের অর্থনীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবেই দেখছেন তারা। ব্যবসায়ীদের দাবি প্রয়োজনে আইন করে হলেও হরতাল বন্ধ করতে হবে।
হরতালের মধ্য দিয়েই শুরু নতুন বছরের পথচলা। তবে গত বছর রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত থাকলেও নতুন বছরকে ঘিরে শঙ্কায় আছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। পরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হরতাল সহ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। বিশেষ করে ফুটপাতের এই সব বিক্রেতাদের রুটি রুজি অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায় হরতাল অবরোধের দিনগুলিতে।
২০১৪’র ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের প্রতিবাদ সহ কয়েকটি ঘটনায় ১৭ দিন হরতাল দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে বর্তমান সরকারের বর্ষপূর্তির মুখে হঠাৎ করেই গরম হতে শুরু করেছে রাজনীতির মাঠ।
এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতি যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন হরতালকে উন্নয়নের পথে বাধা হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। প্রয়োজনে আইন করে হরতালের মত নাশকতা বন্ধের দাবি জানান তারা।
এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং যখন সবকিছুতে ইতিবাচক দিক দেখা যাচ্ছে এই সময় হরতালের মতো দানবীয় রাজনৈতিক প্রোগ্রাম দেয়া হচ্ছে। এটা অর্থনীতির সঙ্গে যুদ্ধের সামিল। আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই যুদ্ধে অর্থনীতি জিতবে না হরতালকারীরা জিতবে।’
দেশের অর্থনীতির স্বার্থে হরতালের পথ ছেড়ে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।