কার্যালয়ের ভিতরে থাকা কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, যে কোনো মূল্যে আগামীকাল ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রয়েছেন খালেদা জিয়া। নেতা-কর্মীদের তিনি চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামার আহবান জানিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার সকাল ১০টায় জানান, শনিবার রাত ১০টার পর থেকে কার্যালয় ঘিরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে কড়াকড়ি ছিল, তা বহাল রয়েছে। কার্যালয়ের ভিতরে অবস্থানকারীরা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার বাসভবনে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আপাতত কার্যালয়েই থাকবেন খালেদা জিয়া। রাতে বাসভবন থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা হয়েছে।
ভোর চারটায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল (৫ জানুয়ারি) ঢাকায় গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসী ও নেতা-কর্মীদের অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আহবান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন। কর্মসূচিও ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা জানান, নিরাপত্তার কারনে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কার্যালয় থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আগামীকাল ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে ২০ দলের কর্মসূচিকে ঘিরে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কার্যালয় ঘিরে অবস্থান থাকবে। খালেদা জিয়া কেবলমাত্র বাসায় যেতে চাইলে যেতে দেয়া হবে, অন্য কোথাও নয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আব্দুস সালাম পিন্টু, বিএনপি নেতা যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, যুবদল নেতা সাইফুল আলম নিরব, হামিদুর রহমান, এছহাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুসহ শতাধিক নেতার বাসায় রাতে পুলিশ তলাøশি চালিয়েছে।