প্রতিদিন কমছে শেয়ারবাজার সূচক। ফলে বাজার পরিস্থিতি তলানির দিকে যাচ্ছে। গড় লেনদেন নেমেছে ২০০ কোটি টাকায়। অবরোধ চলাকালীন ২০ দিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ সময়ে ডিএসই সূচক ২৫০ পয়েন্টের বেশি কমেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বাজারে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক কোম্পানির শেয়ার দরই কমছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সব সম্বল হারাবেন।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুতে বাজার কিছুটা ঊধর্্বমুখী থাকলেও ৬ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে সূচক কমছে। শেয়ারবাজারের সব সূচকই এই সময় কমেছে। ৫ জানুয়ারি ডিএসইর সূচক ছিল চার হাজার ৯৬৯ পয়েন্ট। সর্বশেষ তা কমে চার হাজার ৭২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে ডিএসইর গড় লেনদেন যেখানে ছিল প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। গত তিন সপ্তাহে তা নেমেছে ২০০ কোটি টাকায়। তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ার দরই এ সময় কমেছে। বিএনপি জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ২০ দিন। এই সময়ের মধ্যে ডিএসইর বাজার মূলধন হারিয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি মাসের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ ২৯ জানুয়ারি তা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জে একই সময়ের ব্যবধানে সূচক কমেছে প্রায় ৪০০ পয়েন্ট। মাসের শুরুতে সিএসই সূচক ছিল নয় হাজার ১৩১ পয়েন্টে। সর্বশেষ কমে আট হাজার ৭৩৬ পয়েন্টে পেঁৗছেছে। বাজার মূলধন কমেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে ডিএসইর সাবেক পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই নাহরিন বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় শেয়ারবাজার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এভাবে সহিংসতা চলতে থাকলে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন হবে না। মানুষের যে আস্থা তৈরি হচ্ছিল সেটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও তাদের মূলধন হারাচ্ছে। অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা অর্থনীতিতে মারাত্দক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ কারণে শেয়ারবাজার একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে শেয়ারবাজারে সবারই মূলধন হারাতে হবে। এর পরিণতি পুরো শিল্প খাতকে অস্থিতিশীল করে দিতে পারে।