ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠা বাংলাস্বাগতিক নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি আগামী শুক্রবার হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে খেলবে বাংলাদেশ। সবকিছু ঠিক থাকলে এই ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড দলের বোলিং লাইনআপে খেলার কথা ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি আর ড্যানিয়েল ভেটোরির।
এই বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের পাঁচটি ম্যাচেই খেলেন এই তিন বোলার। পেস বোলিং জুটি বোল্ট আর সাউদির দুজনই ১৩টি করে উইকেট নেন। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের শীর্ষ দুই উইকেটশিকারী তারা।
তাদের পরেই আছেন ১২ উইকেট পাওয়া ভেটোরি। তার সঙ্গে ১২ উইকেট পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্ট্যার্ক আর ভারতের মোহাম্মদ সামিও। কিন্তু একদিক থেকে ভেটোরি অবশ্য এই দুজনের চেয়ে এগিয়ে। রান উৎসবের বিশ্বকাপে ওভারপ্রতি মাত্র ৩ রান করে দিয়েছেন ভেটোরি।
বোল্ট নিজে খুব বেশি ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেননি। এখন পর্যন্ত মাত্র ২১টি ওয়ানডে ম্যাচই খেলেন টেস্ট বোলার হিসেবে পরিচিত বোল্ট। এ ক্ষেত্রে সাউদি তাকে বেশ সাহায্য করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
“অনেক বছর ধরে দলের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখছি এবং তার সঙ্গে বোলিং করাটা আমি উপভোগ করছি।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ভেটোরির প্রশংসা করেন বোল্ট।
“সে বিশ্বমানের একজন খেলোয়াড় এবং সবশেষ ম্যাচে তার ৩০০ উইকেট পাওয়া বিশেষ ব্যাপার। দলকে সে অনেক কিছু দেয়।”
ভেটোরি বাংলাদেশের জন্য যে বড় এক হুমকি, সেটাও বুঝিয়ে দেন বোল্ট।
“প্রতিপক্ষের চেয়ে সবসময়ই তাকে এক ধাপ এগিয়ে থাকতে দেখা যায়। সত্যি সে সবসময়ই আমার মতো বোলারদের উইকেট পাওয়ার পথটা করে দেয়।”
এই বিশ্বকাপের তুলনায় বোল্ট আর সাউদিও খুব হিসেবি বোলিংই করেন। বোল্ট ওভারপ্রতি রান দেন ৩.৮৬ করে, আর সাউদি দেন ওভারপ্রতি ৪.৭৬ করে রান।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এমন একটি বোলিং আক্রমণ পেয়ে দারুণ খুশি বোল্ট।
“এটা দারুণ এক অনুভূতি।”
বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ড পাঁচ ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে। বাংলাদেশ ম্যাচেও কিউই বোলারদের উইকেট পাওয়ার এই ধারা বজায় থাকবে বলেই মনে করেন এই পেসার।
“ড্যান (ড্যানিয়েল ভেটোরি) দারুণ ভালো বল করছে এবং টিমিও (টিম সাউদি) তাই করছে। আরও খেলা বাকি আছে, তাই আশা করছি থলিতে আরও কিছু উইকেট জমা পড়বে।”
দেশের সামনে বড় একটা চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে তামিম ইকবাল-মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকুর রহিমদের মুখোমুখি হতে হবে এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তিন বোলারের। REPORT:Jamilur Rahman