কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল জোনে গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি কটেজ ও ফ্লাটে জমজমাট পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসায়িদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি কটেজ ও ফ্লাটে অনেক দিন ধরে চলছে পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসা । এসব কটেজ ও ফ্লাটে অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। কটেজের কয়েক জন বয় সিন্ডিকেট করে দালালদের মাধ্যমে পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। দালালরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পতিতাদের এনে কটেজে আশ্রয় দেয়। পতিতার পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসায়িদের আশ্রয়স্থলও রয়েছে কটেজে। সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা রোহিঙ্গা কেন্দ্রিক গড়ে উঠা দালাল সিন্ডিকেটের হাতে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকারের নতুন কিছু নয়। স্থানীয় তথ্যঅনুসারে জানা যায়, হোটেল মোটেল জোনের নাম করা পতিতা ব্যবসায়ী,আলি আকবর,কালু (প্রকাশ বাইট্যা কালু),বার্মাইয়া রশিদ,সিএনজি বশির,শামসু,মনু আলম,সিএনজি ইসমাঈল, ও আরো কয়েকজন দালাল বিভিন্ন কটেজ,ফ্ল্যাট ও হোটেলে পতিতা স্পালাই দিয়ে থাকে। এরা আগত পর্যটকদের ভুলিয়ে বালিয়ে পতিতা ও রুমসহ বিক্রয় করে। আরো জানা যায়, এসব পতিতারা সকালে পর্যটক ঘুম থেকে না উঠার আগে পর্যটকের সব নিয়ে চলে যায়। এদের কারনে কটেজে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এদের বেশির ভাগ পতিতা রোহিঙ্গা বলে জানা যায়। এসব পতিতারা টেকনাফ ও উখিয়া সিমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসব দালালদের হাতে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে পর্যটক। পর্যটন এলাকার সুনাম রক্ষার্থে এসব দালালদের বিরুদ্ধে প্রায় চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান। তবু থামছে না দালালের তৎপরতা। এলাকার সচেতন লোকজন জানান, হোটেল মোটেল জোন এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা খুব সক্রিয়। এ কারণে ছাত্র ও যুবসমাজকে নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের পরিবারের অভিভাবকরা। কারণ যে কোন মুহুর্তে তাদের ছেলেরা সর্বনাশা ইয়াবায় আসক্ত হওয়ার ভয়ে চরম আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। তথ্য সূত্রে, সেলিম,বার্মাইয়া জমির,বার্মাইয়া তৈয়ব,জয়নাল,মনজুর এবং এদের পাশাপাশি কটেজ,ফ্লাট ও হোটেলের বয় ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা যায়। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।