শিশু অপহরণ ও পতিতালয়ে বিক্রি করে যৌন কাজে বাধ্য করার অপরাধে গাইবান্ধায় ১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৪ জনকে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড। বুধবার দুপুরে গাইবান্ধার স্পেশাল ট্রাইবুন্যাল আদালতের ২ এর বিচারক অম্লান কুসুম জিষনু এই রায় ঘোষণা করেন ।
সাদুল্লাপুর উপজেলার দক্ষিণ চক দাড়িয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের শিশুকন্যা মল্লিকা (১১) । মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে তার বাড়ির আশেপাশের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান, সহিদুল ইসলাম, মোসাদ্দেকুর রহমান, পারভীন বেগম, আশিক মণ্ডল ও মিন্টু মিয়া ১১ বছরের শিশু মল্লিকাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারপর বিভিন্ন স্থানে রেখে তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে ও ভারতে নিয়ে যাওযার চেষ্টা করে । পরে শিশুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়। খবর পেয়ে শিশুর পিতা তাকে গাইবান্ধায় নিয়ে আসে এবং সাদুল্লাপুর থানায় মামলা করে ।
মামলায় গাইবান্ধার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতের বিচারক আসামি আব্দুল মান্নানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, আসামী শহিুদুল ইসলাম ও মোকসেদুলকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আর আসামী পারভীন বেগমকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এদিকে আসামী মিন্ট মিয়া ও আশিক মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।