আমিনুল কবির,কক্সবাজার :
কক্সবাজার শহরে লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। গত কয়েকদিনে লাগামহীনভাবে বেড়েছে সকল ধরনের সবজির দাম। তবে কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দাম। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে প্রতিটি পন্যের দাম। বিশেষ করে সবজির বাজারে দেখা দিয়েছে ভয়ানক আগুন। সম্প্রতি ঘূর্নিঝড় কোমেনের কারনে কক্সবাজারসহ দেশের দক্ষিন অঞ্চলের সবজি ক্ষেতের ব্যপক ক্ষতি হয়। এতে দ্রত বেড়ে যায় সবজির দাম। বাজার উর্দ্ধগতির জন্য সবজি বিক্রেতারা বৃষ্টিকে দুষলেও বাজার মনিটরিং না থাকায় দুষছেন ক্রেতারা।
কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারের মূল্যের লাগামহীন। কোন ভাবেই কমছে না প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। বাজার করতে গিয়ে চরম বেকায়দায় পড়ছেন অসহায় ক্রেতারা। বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের মতে, বৃষ্টির কারণে কাঁচাপণ্যের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে বেশি দাম দিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পণ্য কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পিয়াজ বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, কাচা মরিচ ১৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, আলু ৩০-৩৫টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা। একই সাথে বেড়েছে শাকের দাম। মসুর ডাল ১৪০-১৩০ টাকা, আর বয়লার মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে হালি প্রতি ৩৬-৪০ টাকা।
কলাতলী বাজারে বাজার করতে আসা ইয়াছিন জানান, বর্তমানে সাধারন মানুষ বাজার করতে গিয়ে অল্প কিছু কিনেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এতে করে সংসার চালাতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাধারন মানুষ অতিমাত্রায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়বে।
বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতা রশিদ বলেন, উচ্চ মূল্যে তারা কাচা তরকারী কিনছেন তাই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অতি বৃষ্টিতে সবজির গাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই পাইকারী বাজারে দাম বৃদ্ধি হওয়ায় খুচরা বাজারেও বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ।