২০১৪ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে হার, বারবার তীরে এসে তরি ডোবার যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে লিওনেল মেসিকে। ব্যর্থতায় শুনতে হচ্ছে একের পর এক সমালোচনা। বার্সেলোনার জার্সিটা যতটা উজ্জ্বল, নীল-আকাশি জার্সিতে ততটা নয়, এ সমালোচনা উচ্চকিত বহুদিন ধরেই। তা-ই নয়, প্রশ্ন তোলা হয় তাঁর দেশাত্মবোধ নিয়েও! কদিন আগে আর্জেন্টিনার স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে লেখাই হলো, জাতীয় দলের খেলাই ছেড়ে দিচ্ছেন মেসি।
এমন খবরে বেজায় চটেছেন বার্সার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ইএসপিএন রেডিওকে বলেছেন, ‘কখনোই বলিনি, জাতীয় দলে আর খেলব না।’ এরপর রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন সংবাদমাধ্যমের ওপর, ‘তারা যা করেছে, এর বেশি কিছু করতে পারবে না। এ ধরনের খবরের সঙ্গে অভ্যস্ত।’
আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বলিভিয়া ও মেক্সিকোর সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। জানালেন, ম্যাচগুলোয় খেলতে তৈরিই আছেন, ‘সামনে আমাদের কিছু প্রীতি ম্যাচ আছে। কোচ ডাকা মাত্র জাতীয় দলে খেলতে প্রস্তুত আমি।’
বার্সার জার্সিতে গোলের বন্যা বইয়ে দিলেও আর্জেন্টিনা জার্সিতে ম্লান বলে যে অপবাদ মেসির বিরুদ্ধে, পরিসংখ্যান তা বলে না। ১০৩ আন্তর্জাতিক ম্যাচে করেছেন ৪৬ গোল। আর্জেন্টিনার জার্সিতে সর্বোচ্চ গোল করা গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ছাড়িয়ে যেতে প্রয়োজন আর ১০ গোল। পরিসংখ্যান আর পুরস্কার প্রাপ্তিতে মেসির অর্জনের কমতি নেই। দুঃখ একটাই, দেশের হয়ে বড় কোনো শিরোপা না জেতা। সেটি যেদিন জিততে পারবেন, মিইয়ে আসবে সব গুঞ্জন।