রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর অধীন আর,এম শাখার ক্লার্ক আব্দুর রব। ভূমি দস্যূতা করে আজ কোটিপতি। কৌশলী রব ধরা ছোয়ার বাইরে। ভূমি দস্যুতা করার জন্য গড়ে তুলেছে নিজস্ব বাহিনী। আন্ডার গ্রাউন্ডে তিনিই বাহিনী প্রধান। এখানে গরিব, হতদরিদ্র, অসহায় মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার বাণী নিরভে কাঁদে। রব বাহিনীর হয়রানীর স্বীকার ক্ষতিগ্রস্থরা প্রশাসনের দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ও পায়নি প্রতিকার। ক্ষতিগ্রস্ত শওকত হোসেন সাজু ও মো: জিয়া উভয়ের পিতা মৃত মোসলেম উদ্দীন প্রতিবেদককে জানান যে, পৈত্রিক ওয়ারিস সূত্রে প্রাপ্ত তাদের রেকর্ডীয়, ২০১০ সাল পর্যন্ত কর খাজনা পরিশোধিত, দীর্ঘ ৬৫বৎসর যাবৎ মালিকানাধীন স্বত্ত্ব দখলীয় ভূমি এই দস্যূরা নেওয়ার আইনগত ধ্র“মজাল ফেলে উচ্ছেদের পায়তারা করছে। অসহায় হতদরিদ্র মানুষের ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি সরকারী সম্পত্তি বলে আবার ভূমিদস্যূদের মালিকানা দাবী করে প্লট কেটে বিক্রি করে এই ভূমিদস্যুরা হয়েছে কোটিপতি। সরকারী অর্থ আত্মসাতের দায়ে ক্লার্ক আব্দুর রব একবার বরখাস্ত হয়। কালোটাকার প্রভাব, প্রতিপত্তির তদ্ববির চাকুরী ফেরত নেয়। ক্লার্ক আব্দুর রবের ভূমি দস্যুতার মূল হাতিয়ার ছিল মৃত আজিজুল ইসলাম নয়ামিয়া। এই নয়ামিয়া কে ক্লার্ক আব্দুর রব ১৯৮৫সালে গংগাচড়া-মহিপুর থেকে নিয়ে আসে রংপুর সদর আলমনগর। শওকত হোসেন সাজু আরো জানান যে, আমরা হতদরিদ্র, নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমনই হতভাগ্য। আমার পিতা মৃত মোসলেম উদ্দীন, তিনি তিনপুত্র দুই কন্যা রেখে মৃত হওয়ায় আমরা পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে রংপুর সদর উপজেলার আলমনগর মৌজাস্থিত আমার পিতার নামীয় এস,এ খতিয়ান নং ২৩৩১/৪০, এস,এ দাগ নং বাট্টা ৪৫২৭/৪৭৪৮, জমির পরিমাণ ৪একর ৬শতাংশ এর মধ্যে .৮৪শতাংশ মালিক ও স্বত্ত্ববান ও ভোগদখলকার থাকি। যাহা হাল খতিয়ান নং-২৩৩৬। নিয়মিত সরকারকে কর খাজনা ও দিয়া আসিতেছি। এই আব্দুর রব ১৯৮৫ সালে নয়ামিয়া কে এখানে নিয়ে এসে রাতের অন্ধকারে ০.৭০ শতাংশ ভূমি জবরদখল করে। কখনো সরকারের আবার কখনো নিজেদের মালিকানা দাবী করে। আইনসঙ্গত প্রমানাদী দেখাতে না পেরে প্রকৃত মালিক আমাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগে আজ কাল চলে যাবে বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন হতদরিদ্র মোসলেম মিয়ার ওয়ারিশগণ আইনসঙ্গত ভাবে উচ্ছেদ করতে ও পারে না। এরই মধ্যে ধ্র“ত আ:রব নয়ামিয়ার পুত্র লাচ্চু কে দিয়ে প্লট করে জমি বিক্রি করে হাতিয়ে নেয় কোটি টাকা। এদিকে মোসলেম উদ্দীনের সম্পত্তি লা-ওয়ারিশ ঘোষণা করে সরকারের খাস ভূক্ত করে ভূমিদস্যূদের নামে লিজ নেওয়ার ফন্দি-ফিকির করে। জেলা প্রশাসক রাজস্ব এর নিকট ভূমিদস্যূরা মিস কেস নং – ০৩/২০১১ দায়ের করে মোসলেম উদ্দীন এর ৬৫বৎসর মালিকানাধীন ও সরকারকে নিয়মিত দেওয়া খাজনা। ২০১১ সাল থেকে বন্ধ করে রাখে। কয়েকবার শুনানী হলেও উক্ত কেসের আদেশ না হওয়ায় প্রকৃত মালিক বিবাদীদের বারবার তাগাদায় গত ২৫/০২/২০১৪তারিখ পুনরায় শুনানী হলেও এখনো আদেশ হয়নি। এভাবে রব-লাচচু ভূমিদস্যূ বাহিনীর হাতে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, হয়রানির স্বীকার মৃত মোসলেম উদ্দীনের ওয়ারিশগণ। মাথা গোজার শেষ সম্বল হারানোর ভয়ে দিনাতিপাত করছে। মিস কেস নং- ০৩/২০১১ এর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের আশু হস্তক্ষেপ ক্ষতিগ্রস্থরা কামনা করে। ভূমিদস্যূ রব-নয়ামিয়া এভাবে বহু নিরীহ মানুষের জমি জাল-জালিয়াত করে। জানা যায় জায়েদা নামের একজনের ভূমি এবং মৃত আজগর আলীর কণ্যা আমিরা খাতুন সহ অনেকের ভূমি এই ভূমিদস্যূ বাহিনী জাল জালিয়াতি করেছে। এই ভূমিদস্যু রব-লাচ্চুর হাত থেকে নিরীহ গরীব, অসহায় মানুষ সরকারের সহায়তায় ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে বাচতে চায়।