চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২রা অক্টোবর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় হাটহাজারী থানায় তিনটি মামলা কর হয়েছে। মামলায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে ১৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করেছে বাদী পুলিশ।
অন্যদিকে এই ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দিনকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
মামলা দায়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কথা হয় হাটহাজারী থানার ওসি ইসমাঈলের সঙ্গে। তিনি বলেন, তিন এসআই বাদী হয়ে ৩টি মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে আদালতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চালান দেয়া হয়েছে। আমরা তল্লাশি অব্যাহত রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, অভিযান চলবে। যারা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মারামারির ঘটনায় বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর আগে সোমবার ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। এই সময় ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। শোডাউন দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, চবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
পরে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বেলা পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত চলে তল্লাশি। এই সময় উভয় হল থেকে শতাধিক দা, ছুড়ি, কিরিচ সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া শাহজালাল হল থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি পাইপ গান।
জানতে চাইলে চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, ‘সভাপতি এখনো পুরো ছাত্রলীগের সভাপতি হয়ে উঠতে পারেননি। এ কারণেই তিনি একটি গ্রুপের নেতা হয়ে নিজে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করেছেন। তিনি যতদিন পুরো চবি ছাত্রলীগের সভাপতি হতে না পারবেন ততদিন এ ধরনের সমস্যা হতেই থাকবে।
চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, ‘তারা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে বাইরে গিয়ে গ্রুপিংয়ের কর্মকাণ্ড করছিল। পরে জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা বাধলে আমি তাদের শান্ত করতে চেষ্টা করি। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে না এসে অন্য এক স্থানে অবস্থান নিয়ে জুনিয়রদের শান্ত করার পরিবর্তে তাদে উসকে দিয়েছে। এ কারণেই ঝামেলা বড় হয়েছে।’