সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ১৪৫ রানের বড় ব্যবধানে জিতলেও একটা সমস্যা থেকেই গিয়েছিল। আর সেটা হল – ওপেনিংয়ে কে হবেন তামিম ইকবালের সঙ্গী?
প্রথম ম্যাচে লিটন কোন রান না করেই আউট হয়ে যাওয়ায় ইমরুল কায়েসের সুযোগ পাওয়াটা এক রকম নিশ্চিতই ছিল। তবে, এখানে তাকে লড়তে হয়েছে সাকিব আল হাসানের বদলী হিসেবে দলে ডাক পাওয়া এনামুল হক বিজয়কে।
ছবি: টাইগার ক্রিকেট
ইমরুল শেষ অবধি সেই সংশয়টা দূর করে দিলেন ইমরুল নিজেই। ৩২ রানের ওপেনিং জুটি গড়েই বিদায় নিয়েছিলেন তামিম। টপ অর্ডার আর মিডল অর্ডারে কেউই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি।
কিন্তু, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ইনিংসে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ইনিংসে অবিচল ছিলেন ইমরুল। ইনিংসের প্রথম থেকে শুরু করে, ৩২ তম ওভার পর্যন্ত তিনি ক্রিজে থাকলেন।
এর মধ্যে ৮৯ বল মোকাবেলা করে করলেন ৭৬ রান। ৮৫.৩৯ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ছয়টি চার ছাড়াও ছিল চারটি ছক্কা। এটা তার ক্যারিয়ারের ১১ তম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি।
৭৬ রান করে ফিরছেন সাজঘরে। ছবি: সংগৃহীত
সর্বশেষ ইমরুলকে ওয়ানডেতে দেখা গিয়েছিল বিশ্বকাপের মঞ্চে। বিজয়ের বদলী হিসেবে হিসেবে বিশ্বকাপের মাঝপথেই তার ডাক পড়ে। কিন্তু স্বল্প সময়ের নোটিসে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মত বিরুদ্ধ কন্ডিশনে একেবারেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি।
যদিও, এর মাঝে টেস্টে নিয়মিত ছিলেন। চার টেস্টে একটা ১৫০ রানের ইনিংস ও দু’টি হাফ সেঞ্চুরিও আছে। আর ছয় ইনিংসে সর্বনিম্ন রানের ইনিংসটাও সাত রানে অপরাজিত।
বিশ্বকাপে যে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন, তাতে একটাতেও দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। করতে পেরেছেন মোটে নয় রান। সেই ইমরুল ফিরলেন মিরপুরে। যদিও, ৭৬ রানের ইনিংসটাকে সেঞ্চুরি বানিয়ে ফেলতেন।
হয়তো, শন উইলিয়ামসের ফুলটসে লং অফে গ্রায়েম ক্রেমারের হাতে ক্যাচ না গেলে গল্পটা অন্য ভাবে লেখা হতে পারতো!