আনিসুর রহমান মিলন। মঞ্চ দিয়েই যার অভিনয় জীবন শুরু। সেই ১২ বছর বয়সেই মঞ্চের আলো আধারীর সঙ্গে নিজেকে অবলীলায় মানিয়ে নিয়েছেন। এরপর ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছেন আপন লক্ষে। তারকা খ্যাতির তকমা মূলত লেগেছে সালাউদ্দিন লাভলুর ‘রঙের মানুষ’ ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করে। দর্শকরে কাছে ব্যাপক পরিচিতি পান এ নাটকের মাধ্যমে। এরপর ছোট পর্দায় নিজের অভিনয়ের জাত চিনিয়েছেন। কিন্তু লক্ষ তার চলচ্চিত্র। ছোট পর্দার গণ্ডি পেরিয়ে তিনি এখন বড় পর্দায় নিজের অবস্থানটা আরো বড় করার প্রতিযোগিতায় দৌড়াচ্ছেন।
অভিনয়, ব্যবসায়িক সাফল্য, দর্শক জনপ্রিয়তায় একটু একটু করে পথ চলছেন। হলিউড, বলিউড ও দেশের শোবিজ কিংবা চলচ্চিত্র অঙ্গনের বাইরেও আছে তার ব্যক্তিগত জীবনের তারকা- যারা মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন আমাদের এ প্রিয় তারকাকে। তারকার পছন্দ, অপছন্দ কিংবা তার আগ্রহ- সবকিছুই ভক্তদের নখদর্পনে। কিন্তু প্রিয় তারকার চোখে কারা তারকা- সে খবর রাখেন ক’জন? অগনিত ভক্তের প্রিয় তারকা আনিসুর রহমান মিলনেরও আছে প্রিয় তারকা। হলিউড, বলিউড, দেশে এবং ব্যক্তিগত জীবনে তার চোখে প্রিয় তারকাদের কথায় জানালেন প্রিয়.কমকে।
হলিউড
জনি ডেপ, টম ক্রুজ, অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে আমার চোখে তারকা মনে হয়। তারা সবাই ভাল কাজ ও দক্ষ অভিনয় দিয়ে দর্শক হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। হলিউড স্টারদের মধ্যে যদি অভিনেতা বা পারফর্মারয়ের কথা অনুভব করি-তিনি হলেন জনি ডেপ। একেকটা চরিত্র একেকভাবে ভেঙে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেন। আর পর্দার সে চরিত্রগুলো চিনতেই অনেক সময় লাগে। তার ক্ষেত্রে প্রথমে একটা চরিত্র যখন দেখতে যাই তখন একটু সময় লাগে কে এইটা? এ বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একজন অভিনেতা একটা চরিত্রকে অনবদ্যভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলছেন। এরপর টম ক্রুজকে আমার কাছে অনেক বেশি এনার্জজেটিক হিরো ও অ্যাক্টর মনে হয়। আবার যদি জ্যাকি চ্যানের কথা বলা হয়, বিশ্বব্যাপী তার পারফর্মন্সের কথা সবাই জানেন। তিনি চ্যালেঞ্জর জায়গা একটু অন্যভাবে তুলে ধরেন।
বলিউড
বলিউডের ক্ষেত্রে আমির খানকে তারকা মনে হয়। তারমধ্যে অভিনেতার যে স্বরূপগুলো দরকার হয় সবই তিনি পূরণ করে আসতে পারেন। আর যদি দর্শক ধরে রাখার কথা বলি সেখানে শাহরুখ খান এর নাম চলে আসে। যে কিনা ভেঙেও দেখিয়েছে। আবার কিভাবে দর্শক ধরে রাখতে যে যে উপাদানগুলো দরকার সেগুলোও করে দেখিয়েছেন। আমি অমিতাভ বচ্চনদের দিকে যাচ্ছি না। আমি সমসাময়িক সময় নিয়ে কথাটা বলছি।
বাংলাদেশ
যদি আমি ফিল্ম আঙ্গিকে বলি তাহলে তারকা খেতাব বা তারকা স্ট্যাটাস সবকিছুই আসলে শাকিব খানের ক্ষেত্রে আছে। আবার যদি টেলিভিশনের কথা বলি তাহলে মোশাররফ করিম। তিনি আসাধারণ, দক্ষ অভিনয় দিয়ে দর্শককে ধরে রাখার যে একটা গুন সেটা দারুণভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন। আমার কাছে এ জায়গাটা অনেক ইন্টাররেস্টিং মনে হয়।
ব্যক্তিজীবন
ব্যক্তিজীবনে ঐ একটা মানুষকে আমি সবসময় জপে থাকি। তিনি হুমাযূন ফরিদি। এ বিষয়ে আসলে আমার কিছু করার নাই। ব্যক্তি নয় হুমাযূন ফরিদি আমার সারাজীবনের তারকা । আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই তাকে পেয়েছি। আমি তখন সপ্তম শ্রেনিতে পড়ি। সেসময়েই তার হাতে ওয়ার্কশপ করি। সেখান থেকে বেড়ে উঠে তার ওয়ার্কশপ দেখা। একটু একটু করে অভিনয়ের সঙ্গে থাকা। তারপর একটা সময় গিয়ে তার সঙ্গে অভিনয় করা। যা অনেক বড় একটি বিষয়। ফরিদি ভাইয়ের যে অভিনয় দক্ষতা, যত ধরনের অভিনয় ফরিদি ভাই করে গেছেন। আমরা যখন মঞ্চে অভিনয় করতে যাই, তখন যেকোন একটা লুক, ডায়লগ থ্রো, তাকানো, কোন চরিত্র সাজানো, এসব কিছুতেই কোন না কোনভাবে ফরিদি ভাইয়ের সঙ্গে মিলে যায়। সে স্টারিজ, হিরোয়িজম সবই দেখিয়েছেন। দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। একটা সময় দর্শককে প্রেক্ষাগৃহে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বও নিয়েছিলেন।