আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রয়োজনে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সাহায্য নেবে ফ্রান্স। এতদিন ফ্রান্সসহ আইএসবিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অবস্থান ছিল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে। এবারে প্রথমবারের মতো প্রয়োজনে আসাদ সরকারের সহযোগিতা নিতেও প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরা ফ্যাবিও। এদিকে, ১৩ই নভেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে গতকাল প্যারিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদে বলেন, প্যারিস হামলার পেছনে ধর্মান্ধ যে সশস্ত্র বাহিনী আছে, তাদের যে কোন মূল্যে ধ্বংস করা হবে। অনুষ্ঠানে ভাবগম্ভীর পরিবেশে নিহতদের প্রতি সম্মান জানায় ফ্রান্স। মধ্য প্যারিসে ১৭শ শতকের ঐতিহ্যবাহী ভবন ইনভ্যালাইডসে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে প্যারিস হামলায় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হন। এ ছাড়া হামলায় আহত অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এক ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানটিতে ২০ মিনিটের বক্তব্য দেন ওঁলাদে। এদিকে, আইসিসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা আরও জোরদার করেছে ফ্রান্স। আর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে যে আইএসবিরোধী লড়াইয়ে সব ধরনের সহায়তা নেবে ফ্রান্স। সেটা মতপার্থক্য থাকা সরকারের সহায়তাও হোক না কেন। মি. ফ্যাবিও বলেন, শুধু বিমান আক্রমণ চালিয়ে আইএসকে নির্মূল করা যাবে না। এজন্য প্রয়োজন স্থলসেনা। আর ফ্রান্স সেখানে কোনো স্থলসেনা পাঠাবে না। এ কারণে প্রয়োজনে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে। তিনি বলেন, স্থলে যুদ্ধ করবে সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনীর সেনারা ও সুন্নি আরব সেনারা। আর সিরিয়ার সরকারি বাহিনীই বা বাদ যাবে কেন? তারাও এই লড়াইয়ে অংশ নেবে। ফ্রান্সের তরফ থেকে এটা বড় ধরনের অবস্থান বদলের ইঙ্গিত। কেননা এতদিন সিরিয়ান সংকট সমাধানে আসাদ সরকারের কোন ভূমিকা দেখতেই রাজি ছিল না ফ্রান্স। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করে আসার পর ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন অবস্থান পাল্টানোর ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া বরাবরই বলে আসছে, আইএসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযানে সিরীয় সরকারি বাহিনীর অংশগ্রহণ জরুরি।