মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন হাজার হাজার বৃটিশ। তারা একটি পিটিশনে এরই মধ্যে স্বাক্ষর করেছেন। ওই পিটিশনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে বৃটিশ সরকারের কাছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মেট্রো। এতে আরও বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ আন্দোলনের উদ্যোক্তা তার দীর্ঘ সময়ের সমালোচক সুজানা কেলি। তার আহ্বানে এ পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন বৃটিশরা। এই পিটিশন জমা দেয়ার কথা রয়েছে বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে’র কাছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে নিজ দেশে নিজ দল, বিরোধী দল, বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ, এমনকি বৃটেনেও তার বিরুদ্ধে এ আন্দোলন শুরু হয়েছে। তার এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন, ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ। বৃটিশরা যে পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন তাতে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন যুক্তরাজ্যের মাটিতে পা রাখতে না পারেন। তাকে এ মাটিতে নিষিদ্ধ করতে হবে। ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়ার বক্তব্য দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্য এ পর্যন্ত অনেক মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। সেই একই নীতি প্রয়োগ করতে হবে ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এ আন্দোলনের সূচনাকারী সুজানা কেলি বলেছেন, রিয়েল এস্টেট মুঘলের বাগাড়ম্বরতায় শুধু সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতাকে উস্কে দেয়। যুক্তরাজ্যে এমন মন্তব্যকে স্বাগত জানাতে পারে না। পারা উচিতও নয়। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে কাউকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশে বাধা দেয়া খুব কঠিন কিছু নয়। এ বছরের শুরুর দিকে র্যাপার টেলর দ্য ক্রিয়েটরকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ, তার গানের কথা। এ ছাড়া ইসলাম বিরোধী পামেলা গেলোরকে ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয়। ওদিকে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন ট্রাম্পের ওই মন্তব্য বিভক্তি সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতা জেরেমি করবিন এ মন্তব্যকে অভিন্ন মানবতার সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন।