২০১৪ সালে কঠিন সময় কাটছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার দিয়ে দুঃসময়ের শুরু। আর দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা হারসহ বছরজুড়ে একের পর এক পরাজয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় টাইগারদের। বছর শেষে অবশ্য অধিনায়কের পরিবর্তন ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে সেই দুঃসময় কাটে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের আর খেলা হয়নি। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে ২ বছর পর আবারও মুখোমুখি দুই দল। তবে এবার দিন বদলেছে। বদলেছে দুই দলের শক্তিও। ওয়ানডে ফরমেটে গেল বছরটা বাংলাদেশের কেটেছে দুর্দান্ত। টি-টোয়েন্টিওতে বাংলাদেশের ঝুলিতে জমা পড়েছে বেশ কয়টি জয়। এর মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টাই ছিল সব চেয়ে বড় প্রাপ্তি। অন্যতম শক্তি কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে এবার লঙ্কান দলে নেই। দলের অন্যতম শক্তি বলতে অধিনায়ক মালিঙ্গা। তরুণরাই এখন দলটির মূল ভরসা। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের এটি আসরে টিকে থাকার লড়াই। ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আরব আমিরাতকে গুঁড়িয়ে দিয়ে আসরে টিকে থাকার পথ খুঁজে পেয়েছে টাইগাররা। এবার লঙ্কানদের হারাতে পারলে ফাইনালে খেলার পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবে মাশরাফি বাহিনীর। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে রাত সাড়ে ৭টায় দুই দল মুখোমুখি হবে। শ্রীলঙ্কা অবশ্য আরব-আমিরাতের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করেছে। আরব-আমিরাতের বিপক্ষে লঙ্কানরা করেছিল ১২৯ রান। জয় পায় মাত্র ১৪ রানে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দল আমিরাতের বিপক্ষে ১৩৩ রান করলেও জয় পেয়েছে ৫১ রানের বড় ব্যবধানে। দুই একটি ক্যাচ মিস না হলে জয়ের ব্যবধানটা আরও বড় হতো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা এই পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছে ৪ বার। কিন্তু টাইগারদের কখনো জয়ের দেখা মেলেনি। ২০০৭ সালে প্রথম দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। এরপর ২০১৩ সালে একবার ও ২০১৪ সালে দুই ম্যাচের সিরিজেও হারের মুখ দেখে টাইগাররা।
গতকাল অনুশীলনে ঘাম ঝরান বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। তবে ছিলেন না অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদুল্লা রিয়াদ, তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদ। এছাড়া সাকিব আল হাসানের কন্যাকে নিয়ে গতকাল দেশে ফিরেছেন তার স্ত্রী উম্মেহ আহমেদ শিশির। সাকিবও ছিলেন না অনুশীলনে। অনুশীলনে যথারীতি একটু আগে ভাগেই পৌঁছেন মুশফিকুর রহীম। পরে তরুণ পেসার মুস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে জিম সেরে নেন। বছরটা খারাপই যাচ্ছে মুশফিকের। আরব-আমিরাতের সঙ্গেও রান করেছে মাত্র ৮ বলে ৪টি।
এশিয়া কাপে সুযোগ হয়েছিল তরুণ নূরুল হাসান সোহানের। কিন্তু ক্যারিয়ারে প্রথম গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে তিনি উইকেট নিয়ে বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘আসলে উইকেট খুবই ভাল ছিল। আমরাই ঠিক মতো খেলতে পারিনি।’ নিজের প্রথম বলে আউট হওয়া নিয়ে সোহান বলেন, ‘আসলে কোচের তখন তেমনই নির্দেশ ছিল। কারণ রান দরকার ছিল। কোচ বলেছিলেন এই উইকেটে ১৪৫/১৫০ হলেই নিরাপদ। আমাদের চেষ্টা তেমন ছিল। কিন্তু ব্যাটে বলে হয়নি।’
আজ দলে একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। এরই মধ্যে পেসার তাসকিন আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আজ সুযোগ পেতে পারেন আরেক তরুণ পেসার আবু হায়দার রনি। দলে আসতে পারেন বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফাত সানিও। তবে টাইগারদের ব্যাটিংটাই আপাতত চিন্তার কারণ।